চাকরিতে কোটা পদ্ধতি ও প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়

রেজা ঘটক

প্রকাশিত : জুলাই ১৭, ২০২৪

আমার বাবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ছিলেন। একাত্তরের দীর্ঘ ৯ মাস তিনি ফেরারি জীবনযাপন করেছেন। কারণ নকশালদের একটি পক্ষ তাকে মারার জন্য প্রায়ই আমাদের বাড়িতে হানা দিত। তারা আমার মায়ের হাতের রান্না খেয়ে যাবার সময় মাকে বলে যেতেন, আবার আসবে। আর আসবে আমার বাবাকে খুন করতে। এসব গল্প শুনে শুনে আমরা বড় হয়েছি।

আমরা ৯ ভাইবোন। বাবা সবসময় বলতেন, লেখাপড়া শিখে নিজের যোগ্যতায় যা করবা ওটাই তোমার সার্টিফিকেট। মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট তিনি কখনোই তোলেননি। আর আমরা ভাইবোনেরা যাতে ওই সাটিফিকেটের সুযোগ নিয়ে তার অর্জনকে কখনো কোনোভাবেই অসম্মান না করি, সে ব্যাপারে সবসময় সবাইকে সতর্ক করতেন। ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবা পরলোক গমন করেন।

বাবার কথার এই সূত্র থেকে আমরা যেভাবে বড় হয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করাটা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। কারণ তাদের অকুতোভয় দুঃসাহসিকতার জন্যই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করলে সেটি আমারও গায়ে লাগবে। আমার বাবা কৃষক ছিলেন কিন্তু সত্যিকারের আত্মমর্যাদাবোধ তার ভেতরে সবসময় দেখেছি।

আমি বিশ্বাস করি, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ দেশ স্বাধীনের পর কোনো সরকার থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা নেবার জন্য হাত পাতেননি। কারণ তাদের আত্মমর্যাবোধ বলে দেয় তারা কোনো ধরনের সুবিধা নেবার জন্য দেশ স্বাধীন করেননি। তারা দেশ স্বাধীন করেছেন আর পরবর্তী প্রজন্মের কাজ দেশটা সুন্দরভাবে গড়ে তোলা।

একাত্তরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। গুটিকয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ছাড়া দেশের অধিকাংশ নাগরিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল বলেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজিত হতে বাধ্য হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির একটা বিশাল অংশ তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে।

বুদ্ধিজীবীদেরও একটি বড় অংশ তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নানান কিসিমের সুযোগসুবিধা ভোগ করেছে। দেশ স্বাধীনের পর তাদের একটি অংশ রাতারাতি ভোল পাল্টে স্বাধীন দেশের মুখপাত্র হবার চেষ্টা করেছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা আত্মীয়তার সুযোগসহ নানান কিসিমের বন্ধুত্বের সুযোগ তারা নিয়েছে। এসব গুল্প শুনেই আমরা বড় হয়েছি।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধাদেরও একটা ক্ষুদ্র অংশ দেশের অভ্যন্তরে নানান কিসিমের চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি-ছিনতাই করেছে। যা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে তখন নানাভাবে প্রতিবাদ করেছেন। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশন ও দপ্তরে নিয়োগ এবং কোটা বণ্টনের বিষয়ে ১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সরকার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে।

এতে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৮০ শতাংশ জেলা কোটা রাখা হয়। এই ৮০ শতাংশ জেলা কোটার মধ্য থেকেই ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ শতাংশ কোটা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ১৯৭৬ সালে কোটা বণ্টনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হয় এবং শুধু নারীদের জন্য আলাদা কোটার ব্যবস্থা করা হয়। অর্থাৎ মোট কোটার ৪০ শতাংশ মেধা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারী এবং বাকি ১০ শতাংশ কেবলই জেলার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।

এরপর ১৯৮৫ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়। তখন ১ম ও ২য় শ্রেণির পদসমূহের জন্য মেধাভিত্তিক কোটা ৪৫ শতাংশ এবং জেলাভিত্তিক কোটা ৫৫ শতাংশ করা হয়। এই জেলাভিত্তিক কোটার মধ্য থেকে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ করা হয়। ১৯৯৭ সালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটার (ক্যাডার ও নন-ক্যাডার) ৩০ শতাংশে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকার প্রার্থী থেকে নিয়োগের নির্দেশ জারী করা হয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এই নির্দেশনা বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ করা সম্ভব না হলে পদ খালি রাখার নির্দেশ জারি করে। ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদেরও ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর ২০১২ সালে এক শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা যুক্ত করে নির্দেশ জারি করা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৪৪ শতাংশ মেধাভিত্তিক এবং ৫৬ শতাংশ কোটাভিত্তিক।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা চালু আছে। বাংলাদেশ থেকেও রাতারাতি কোটা ব্যবস্থা রহিত করা সম্ভব নয়। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে প্রতি বছর দেশের শ্রমবাজারে গড়ে ১৩ লাখ ছেলেমেয়ে যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। পরিসংখ্যান বলছে, ২৮তম থেকে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় দেশে কোটাভিত্তিক যোগ্য প্রার্থীর অভাবে বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য ছিল। কোটার প্রার্থী না পাওয়ায় ২৮তম বিসিএসে ৮১৩ জনের পদ শূন্য ছিল। ২৯তম বিসিএসে ৭৯২ জন, ৩০তম বিসিএসে ৭৮৪ জন, ৩১তম বিসিএসে ৭৭৩ জন, ৩২তম বিসিএসে ১২২৫ জন, ৩৫ তম বিসিএসে ৩৩৮ জনের পদ শূন্য ছিল। অর্থাৎ ২৮ থেকে ৩৮তম বিসিএসে কোটার যোগ্য প্রার্থীর অভাবে অন্তত ছয় হাজার পদ শূন্য ছিল।

একদিকে দেশে প্রতিবছর যেখানে বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়েরা শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে তার বিপরীতে সরকারি চাকরিতে এত বিপুল সংখ্যক শূন্য পদ পূরণ হচ্ছে না কেবলমাত্র কোটাভিত্তিক যোগ্য প্রার্থীর অভাবে। এই সমীকরণ থেকেই সুস্পষ্ট যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা ব্যবস্থায় একটি যৌক্তিক অনুপাতে সংস্কার খুবই প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে দেশের কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে কিন্তু কীভাবে করা হবে সেটি এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়। সেই বিষয়ে যাবার আগে আমার কিছু প্রশ্ন আছে এবং এর উত্তর অনুসন্ধান করার জন্যই প্রশ্নগুলো এখানে করছি:

১. একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনেরা কী দেশ স্বাধীনের পর রাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়েছে? যদি পেয়ে থাকে তার পরিমাণ কেমন?

২. দেশের ৭ বীরশ্রেষ্ঠর পরিবার এখন কী অবস্থায় আছে, আমরা কী সঠিকভাবে কিছু জানি?

৩. মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সর্বমোট বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬৭৬ জন (বর্তমানে- ৬৭২ জন)। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় দণ্ডিত ৪ খুনির বীরত্বসূচক রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ০৬ জুন, ২০২১ সালে। মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত এই ৬৭২ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বর্তমান অবস্থা কী?

৪. মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট শাখা বলছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৭ জনের নাম বিভিন্ন সময়ে গেজেটভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে ভাতা (মাসিক সম্মানী) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা (অপূর্ণাঙ্গ) সরকার প্রকাশ করেছিল। ফলে দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রকৃত সংখ্যা কত, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত অস্পষ্টতা দূর হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কত জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই সংখ্যাটি ৫৩ বছরেও চূড়ান্ত করা গেল না কেন? চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা কী আমরা কখনোই জানতে পারব না!

৫. চাকরিতে কোটা পদ্ধতি কত বছর পর্যন্ত রাখা হবে? কাদের জন্য রাখা হবে? কত প্রজন্ম পর্যন্ত এই কোটা পদ্ধতি চালু থাকবে? একই পরিবার থেকে এই কোটা সুবিধা কতবার পাবে?

এবার কিছু সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করা যাক
চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল না করে যুগপোযোগি অনুপাতে সংস্কার করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সেই অনুপাত কী বর্তমান ব্যবস্থার মেধাভিত্তিক ৪৪ শতাংশের বিপরীতে কোটাভিত্তিক ৫৬ শতাংশ যদি না থাকে তাহলে কী অনুপাতে পরিবর্তন করা যৌক্তিক হবে!

১. কোটা ব্যবস্থা কেমন হবে এর জন্য প্রথমেই একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনের কাজের মেয়াদ চূড়ান্ত করে দিতে হবে। এই কমিশনের কাজ হবে গবেষণা এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে একটি বাস্তবভিত্তিক ফর্মুলা আবিষ্কার করা। যেখানে তারা প্রস্তাব করবেন কোটা ব্যবস্থার অনুপাত কত হবে। কোটা পদ্ধতিতে কোন লোকগোষ্ঠী কত অনুপাতে সুযোগ পাবে। একই পরিবার কত বার এই সুযোগ পাবে। এই বিষয়গুলো এই কমিশনকে সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব করতে হবে।

২. মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কত প্রজন্ম পর্যন্ত এই সুযোগ পাবে তা চূড়ান্ত করতে হবে। একই পরিবার এই সুবিধা কত বার পাবে তা চূড়ান্ত করতে হবে।

৩. নারী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর শ্রেণিদের জন্য কোটা কীভাবে বরাদ্দ হবে।

৪. রাজাকার পরিবার বা তাদের প্রজন্ম কোটা পদ্ধতির কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না।

৫. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনাক্ত করতে হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্র থেকে যেসকল সুযোগসুবিধা ভোগ করেছে, তা সুদে-আসলে জরিমানাসহ আদায় করতে হবে।

আমার কিছু প্রস্তাবনা
১. শুধুমাত্র সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা না রেখে প্রাইভেট সেক্টরেও কোটা ব্যবস্থা উৎসাহিত করা উচিত। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবারকে চাকরি প্রদান করে, সেই প্রতিষ্ঠান কিছু বাড়তি রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাবে। সেটা হতে পারে মোট কর্পোরেট কর প্রদানের একটি অংশ তারা রেয়াত পাবে। যেমন কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান যদি ১০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা/তাদের পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সেই প্রতিষ্ঠান ২.৫ থেকে ৫.০ শতাংশ কর অবকাশ পাবে। অথবা এমন কোনো সুযোগসুবিধা যা আলোচনা করে বের করা উচিত।

২. সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর একটি সরকারি পুরস্কার/সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করা। এবং এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু বাড়তি সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

৩. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি। সেক্ষেত্রে রাজধানী বা বিভাগীয় শহরের বাইরে জেলা বা উপজেলাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন কর্মস্থল সৃষ্টি করা।

৪. কেবলমাত্র চাকরির পেছনে না ছুটে নতুন উদ্যোগ সৃষ্টি করে সেখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। নতুন উদ্যোগ যারা নেবেন তাদের জন্য কিছু রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা। ব্যাংক ঋণ থেকে শুরু করে অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে।

৫. যে কোনো ধরনের চাকরিতে নিয়োগের প্রশ্নপত্র কোনোভাবেই ফাঁস হতে পারবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা