
চাঁদাবাজি করতে এসে গণধোলাইয়ে দুজন নিহত, আহত ১
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : এপ্রিল ১১, ২০২৫
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার সিলেটি বাজার এলাকায় গণপিটুনিতে নাদিম (৩৫) ও মাসুদ (২৯) মারা গেছেন। আহত হয়েছেন সোহাগ (২৮)।
বুধবার রাতে কামরাঙ্গীরচরের সিলেটিয়া বাজার এলাকায় পিটুনিতে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসময় চিকিৎসক নাদিম ও মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সোহাগ একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনির শিকার হতাহতরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পলাতক ছিল।
পুলিশ আরও জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হতাহতরাসহ ৯ থেকে ১০ সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে সিলেটি বাজার এলাকার চা দোকানদার নূর মোহাম্মদকে চাঁদাবাজির মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিল। এতে রাজি না হলে তারা নূর মোহাম্মদকে কুপিয়ে জখম করে।
নূর মোহাম্মদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে। এ সময় ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পাঁচ থেকে ছয়জন পালিয়ে যেতে পারলেও ওই তিনজনকে জনতা ঘিরে ধরে পিটুনি দেয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, “নিহত নাদিম রাজধানীর লালবাগ থানার শহীদনগর এলাকার ১৬৫ নম্বর বাসার বাসিন্দা। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তারা কেবল সন্ত্রাসী হিসেবেই পরিচিত ছিল।
এদিকে রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানাধীন এলাকায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহআলীর বি-ব্লকের মনি কানন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
শাহআলী থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “আহত তিনজনই ছাত্রলীগের নেতা। তারা পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে দুজনের নামে পাবনায় একাধিক মামলা আছে। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত, চিনতে পেরে বুধবার রাতে কয়েকজন তাদের মারধর করে। পরে আরও অনেকে অংশ নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা তাদের সঠিক নাম, পরিচয় ও মামলার তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। কে বা কারা কেন মারধর করল, তদন্তের পর তা জানা যাবে।”