চলচ্চিত্রে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
রেজা ঘটকপ্রকাশিত : মে ২৬, ২০২২
কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। চলচ্চিত্রে নজরুলের যখন আর্বিভাব তখন চলচ্চিত্রের নির্বাক যুগ থেকে সবাক যুগে পর্দাপন কাল।
তখন অনেকটা মঞ্চের মতো চলচ্চিত্রেও শব্দ ও সঙ্গীত সংযোজন শুরু হয়েছে। চলচ্চিত্রে নজরুল পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ লেখক, সংগীতকার, সুরকার, গীতিকার, অভিনেতা, গায়ক ও সংগঠক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
এর মধ্যে নজরুলের সবচেয়ে প্রধান অবদান ছিল, সংগীতকার বা সংগীত পরিচালক হিসেবে। নজরুল ১৯৪২ সালে পিকস রোগে আক্রান্ত হবার পূর্বপর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২২টি চলচ্চিত্রে সরাসরি জড়িত ছিলেন। চলচ্চিত্রের গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন, অভিনয় করেছেন এবং নিজে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন।
ত্রিশের দশকে নজরুল পার্সি মালিকানাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাডান থিয়েটার্সের ‘সুর ভাণ্ডারী’ পদে নিযুক্ত হন। সিনেমায় যারা গাইবেন ও অভিনয় করবেন তাদের গান শেখানো ও উচ্চারণ শুদ্ধ করার দায়িত্ব ছিল নজরুলের। পাশাপাশি তাকে গান লেখা ও সুর করার দায়িত্ব পালন করতে হতো।
১৯৩১ সালে প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’তে সুর ভাণ্ডারীর কাজ করেন নজরুল। ম্যাডান থিয়েটার্স কোম্পানির আরও যেসব চলচ্চিত্রের সঙ্গে নজরুল তখন সম্পৃক্ত ছিলেন সেগুলো হলো, জ্যোৎস্নার রাত (১৯৩১), প্রহল্লাদ (১৯৩১), ঋষির প্রেম (১৯৩১), বিষ্ণুমায়া (১৯৩২), চিরকুমারী (১৯৩২), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৯৩২), কলঙ্ক ভঞ্জন (১৯৩২), রাধাকৃষ্ণ (১৯৩৩) ও জয়দেব (১৯৩৩)।
১৯৩১ সালে নজরুল নিজেই ‘ধূপছায়া’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। সেই ছবির সংগীত পরিচালনাও নিজে করেন। এছাড়া তিনি বিষ্ণুর ভূমিকায় অভিনয় করেন। ম্যাডান থিয়েটার্সের একজন অংশীদার ছিলেন মিসেস পিরোজ ম্যাডান। তিনি ১৯৩৩ সালে পায়োনিয়ার ফিল্মস কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
গিরীশ চন্দ্রের কাহিনি আর পাইওনিয়ার ফিল্মস প্রযোজিত ‘ধ্রুব’ ছবিটি ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি মুক্তি পায়। এ ছবিতে নজরুল সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ছবির ‘নারদ’ চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। তার নাদুস নুদুস চেহারা, সাজশয্যা, বাবরি চুলের বাহার আর বেশ ভূষায় তিনি অভিনয়ে তখন আলোড়ন তুলেছিলেন।
নারদ চরিত্রে নজরুলের সাজসজ্জা নিয়ে পত্রিকায় সমালোচনা হলে নজরুল তখন তার জবাবও দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি চিরতরুণ ও চির সুন্দর নারদের রূপই দেবার চেষ্টা করেছি। ম্যাডান থিয়েটার্স বিভিন্নভাবে নজরুলের প্রাপ্য সম্মানী নিয়ে প্রতারণা করায় ১৯৩৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি সম্পর্কচ্ছেদ করেন।
১৯৩৫ সালে বন্ধু শৈলজানন্দের অনুরোধে ‘পাতালপুরী’ ছায়াছবিতে আবার নজরুল সঙ্গীত পরিচালনায় আসেন। এই ছবিতে তিনি অসাধারণ কাজ করেন। সাঁওতালি আর ঝুমুর তালে এমন এক ধরনের সঙ্গীত সৃষ্টি করেন, যা পরবর্তী কালে ‘নজরুলের ঝুমুর তাল’ নামে বিখ্যাত ও পরিচিত পায়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গৃহদাহ’ সিনেমার সুরকার ছিলেন নজরুল। এ ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন রাইচাঁদ বড়াল। ১৯৩৭ সালে নজরুল ‘গ্রহের ফের’ নামক একটি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ১৯৩৭ সালের সেরা ছবি ছিল ‘বিদ্যাপতি’। কবি বিদ্যাপতির জীবনীভিত্তিক এ ছবির মূল গল্প ছিল নজরুলের। ছবিটির সুরকার ছিলেন নজরুল ও রাইচাঁদ বড়াল। মধ্যযুগের বৈষ্ণব কবি বিদ্যাপতির বিভিন্ন কবিতায় নজরুলের সুর দানের কাজ ছিল অসাধারণ।
বাংলা ‘বিদ্যাপতি’র সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দিতে নির্মিত হয় ‘বিদ্যাপতি’। সে ছবিও ব্যবসা সফল হয়। এ সিনেমার সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন নজরুল। রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় ১৯৩৮ সালে ‘গোরা’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘গোরা’ নামেই চলচ্চিত্র বানালেন ত্রিপুরার চলচ্চিত্র নির্মাতা নরেশ চন্দ্র মিত্র। এই ছবিতে সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
নরেশ মিত্র (১৮৮৮-১৯৬৮) ১৯২২ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে প্রায় ২০টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এই ছবিতে নরেশ মিত্র পানুবাবু বা হারান চরিত্রে অভিনয় করেন। ওই সময়ে গোটা বাংলা গানে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জয়জয়কার। ‘গোরা’ চলচ্চিত্রে নরেশ মিত্র নজরুলকে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তির দুইদিন আগে রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘বেসুরো’ করে গাওয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ তোলে বিশ্ব ভারতীর মিউজিক বোর্ড। বোর্ড অভিযোগ করে যে, ছবিতে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ব্যবহারে ‘কবিগুরুর অনুমতি’ নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘সেন্সর বোর্ড’ ছবিটির মুক্তি আটকে দেয়। এই অভিযোগ শোনা মাত্রই নজরুল নরেশ মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে সোজা শান্তিনিকেতনে চলে যান। সাথে নিয়ে যান ‘প্রজেক্টর ও ছবির একটি প্রিন্ট।
বিষয়টি শুনে রবীন্দ্রনাথ বললেন, “ওহে কাজী, ওরা কি আমার গান তোমার থেকে ভালো বোঝে? কই, দাওতো কাগজটা, এখনই অনুমতি দিয়ে দিচ্ছি!” সেই দিনই সন্ধ্যেবেলায় কবিগুরুর আগ্রহে ছবিটি শান্তিনিকেতনে প্রদর্শিত হয়। `গোরা` ছবিতে নজরুল রবীন্দ্রনাথের চারটি গান ব্যবহার করেন। ছবি শুরু হয় যন্ত্রসঙ্গীতে `গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ` ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের তিনটি গান ছাড়াও নজরুলের লেখা এবং সুর করা গান ‘ঊষা এলো চুপি চুপি, সলাজ নিলাজ অনুরাগে’ গানটি এই চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথের গান- ``ওহে সুন্দর, মম গৃহে আজি পরমোৎসব-রাতি, রেখেছি কনকমন্দিরে কমলাসন পাতি॥ তুমি এসো হৃদে এসো, হৃদিবল্লভ হৃদয়েশ, মম অশ্রুনেত্রে কর` বরিষণ করুণ-হাস্যভাতি॥ তব কণ্ঠে দিব মালা, দিব চরণে ফুলডালা, আমি সকল কুঞ্জকানন ফিরি এনেছি যূথী জাতি। তব পদতললীনা আমি বাজাব স্বর্ণবীণা, বরণ করিয়া লব তোমারে মম মানসসাথি`` গানটি নজরুল মিশ্র খাম্বাজ রাগে দাদরা তালে নতুন আঙ্গিকে প্রয়োগ করেন। এছাড়া ললিতার কণ্ঠে ‘সখী প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে’` গানটি আংশিক ব্যবহৃত হয়। এই গানটিরও নজরুল নতুন করে সুর করেন।
এছাড়া ছবিতে সুচরিতার কণ্ঠে ব্যবহৃত হয় `‘রোদন-ভরা এ বসন্ত, সখি কখনো আসেনি বুঝি আগে। মোর বিরহবেদনা রাঙালো কিংশুকরক্তিমরাগে। কুঞ্জদ্বারে বনমল্লিকা সেজেছে পরিয়া নব পত্রালিকা, সারা দিন-রজনী অনিমিখা কার পথ চেয়ে জাগে। দক্ষিণসমীরে দূর গগণে, একেলা বিরহী গাহে বুঝি গো। কুঞ্জবনে মোর মুকুল যত আবরণবন্ধন ছিঁড়িতে চাহে। আমি এ প্রাণের রুদ্ধ দ্বারে ব্যাকুল কর হানি বারে বারে, দেওয়া হল না যে আপনারে এই ব্যথা মনে লাগে’ গানটি। এই গানেও নজরুল চমক আনেন। তিনি গানের প্রথম স্থায়ীটির ‘কুঞ্জদ্বারে বনমল্লিকা সেজেছে পরিয়া নব পত্রালিকা, সারা দিন-রজনী অনিমিখা কার পথ চেয়ে জাগে’ অংশটুকু গানে ব্যবহার করেননি।
সে সময় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাল বাংলা’ নামে আরেকটি সিনেমার গানেও সুর করেছিলেন নজরুল। ‘হালবাংলা’ সিনেমায় কৌতুকময় একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন তিনি। এরপর ১৯৩৯ সালে মুক্তি পায় ‘সাপুড়ে’। এই সাপুড়ে ছবিতে একাধারে কাহিনীকার, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন স্বয়ং নজরুল। পরিচালক ছিলেন দেবকী বসু। বেদে সম্প্রদায়ের জীবনভিত্তিক এ সিনেমাটি দারুণ ব্যবসাসফল হয়েছিল। ‘সাপেড়া’ নামে সিনেমাটির হিন্দি রিমেকও হয়েছিল। তার সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন নজরুল।
১৯৪১ সালে শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের পৃষ্ঠপোষকতায় নজরুল ‘বেঙ্গল টাইগার্স পিকচার্স’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। ১৯৪২ সালে ‘চৌরঙ্গী’ ছায়াছবিতে তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিলরুবা’ সিনেমার গীতিকার ও সুরকার ছিলেন নজরুল। `চৌরঙ্গী` হিন্দিতে নির্মিত হলে সে ছবির জন্য ৭টি হিন্দি গান লেখেন নজরুল।
‘রজত জয়ন্তী’(১৯৩৯), ‘নন্দিনী’ (১৯৪১), ‘অভিনয়’ (১৯৪১), ‘দিকশূল’ (১৯৪১) ইত্যাদি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের গান লিখেছিলেন নজরুল। তাঁর গানগুলো সে সময় মানুষের মুখে মুখে ফিরত। ১৯৪১-৪২ সালে ‘মদিনা’ নামে একটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন নজরুল। এ সিনেমার জন্য তিনি ১৫টি গান লেখেন। কিন্তু ১৯৪২ সালে নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়ায় সিনেমাটি আর মুক্তি পায়নি।
মস্তিষ্কের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৩৪ বছর নজরুল বাকরুদ্ধ ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুলের অসুস্থতার সময় ও মৃত্যুর পর অনেক সিনেমায় তাঁর গান ব্যবহার করা হয়েছে। সব সময়ের জন্যই নজরুলের গানগুলো দর্শকপ্রিয় হয়েছে। ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায় ‘পথহারা পাখি কেঁদে ফেরে একা’, জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায় ‘কারার ঐ লৌহকপাট’, ‘লাইলি-মজনু’ সিনেমায় ‘লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া, মজনু গো আঁখি খোলো’ গানগুলো আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পায়। নজরুলের গান নিয়ে এমন বহু উদাহরণ রয়েছে।
সানিয়াত হোসেন তার ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ ছবিতে নজরুলের একটি গান ব্যবহার করেছেন। ‘আলগা করো গো খোপার বাঁধন’ গানটি এ সময়েও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কাজী নজরুলের গল্প ও উপন্যাস নিয়ে আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মিত হলেও হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে ।
নজরুলের ‘মেহের নিগার’ গল্প অবলম্বনে ২০০৬ সালে মুশফিকুর রহমান গুলজার ও মৌসুমী একটি সিনেমা নির্মাণ করেন। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এই ছবির প্রধান দুই চরিত্রে মৌসুমী এবং ফেরদৌস অভিনয় করেন। একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আরেকটি সিনেমা নির্মিত হয় নজরুলের গল্প ‘রাক্ষুসী’ অবলম্বনে। ‘রাক্ষুসী’ সিনেমার পরিচালক মতিন রহমান। তিনটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রোজিনা, পূর্ণিমা ও ফেরদৌস।
এর আগে নজরুলের গল্প ‘জ্বিনের বাদশাহ’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পা রাজ ও কবিতা। খান আতা নির্মাণ করেন নজরুলের গল্প ‘পদ্ম গোখরা’ অবলম্বনে ‘সুখদুঃখ’ নামে চলচ্চিত্র। নজরুলের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ এবং গল্প ‘ব্যথার দান’ অবলম্বনেও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। নজরুলের ছোটগল্প ‘অতৃপ্ত কামনা’ অবলম্বনে ২০১৪ সালে গীতালি হাসান নির্মাণ করেন ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্র। এ ছবিটিও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের। এতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস ও শায়লা সাবি।
কাজী নজরুলের ‘লিচুচোর’ এবং ‘খুকি ও কাঠবিড়ালি’ কবিতা নিয়ে শিশুদের জন্য দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে। বাংলা চলচ্চিত্রে নজরুলের অবদান অবিস্মরণীয়। এখনও অনেক চলচ্চিত্রে নজরুলের গান ব্যবহার করা হয়। যতদিন বাংলা চলচ্চিত্র থাকবে ততদিন নজরুলের নাম সম্মানের সাথে উচ্চারিত হবে। নজরুল বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের সংগীতে একটি বিরল ধ্রুবতারা। নজরুলের ১২৩তম জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য। অঞ্চলি লহো মোর...
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা