গুতেরেসের ওপর ইজরাইলের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব নিরাপত্তা পরিষদ

বুধবার গুতেরেসকে ব্যক্তিত্বহীন আখ্যা দিয়ে ইজরায়েলে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ। এর প্রতিবাদে গুতেরেসের পাশে রয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

লেবাননে ইজরায়েলি অভিযান, একইসঙ্গে ইজরায়েলে ইরানের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সংঘাত কমাতে বুধবার জরুরি বৈঠক করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

বৈঠকে ফ্রান্সের জাতিসংঘের দূত নিকোলাস ডি রিভিয়ের, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে ডাকা নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে বক্তব্যের জন্য জাতিসংঘের প্রধানকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া মহাসচিবের প্রতি ফ্রান্সের পূর্ণ সমর্থন ও আস্থা প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া, গুতেরেসের বিষয়ে ইজরাইলের সিদ্ধান্তকে ‘অনাকাঙ্খিত’ আখ্যা দেন। এছাড়া ইজরায়েলের সিদ্ধান্ত এবং ‘শুধু জাতিসংঘের নয়, আমাদের সকলের (নিরাপত্তা পরিষদ) বিরুদ্ধে’ বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘের সদস্যদের এই জঘন্য কাজের প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান জানাচ্ছি।”

চীনের প্রতিনিধি ফু কং গুতেরেসের প্রতি বেইজিংয়ের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের প্রধানকে নিষিদ্ধ করার ইজরায়েলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।

মাল্টার দূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার, গুতেরেসের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন এবং অটল সমর্থনের ওপর জোর দেন। এছাড়া ‘এই কঠিন সময়ে সংস্থাকে পরিচালনায় তার অব্যাহত নেতৃত্ব এবং নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য’ গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান।

স্লোভেনিয়ার ডেপুটি দূত, ওন্ডিনা ব্লোকার, জাতিসংঘের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এবং গুতেরেসের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’ ব্যক্ত করেছেন।

ব্লকার বলেন, “আমরা আজকের ঘোষণাটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ইজরায়েলের কাছে আবেদন করছি। এখন কূটনীতির ভূমিকা শক্তিশালী করার এবং শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার উপযুক্ত সময়।”

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুনকুক হোয়াংও ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য’ জাতিসংঘ মহাসচিবকে তার গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর