গাজায় নিহত ৪০,৬০২ এবং আহত ৯৩,৮৫৫ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের সীমান্তে হামলা চালায়। এরপর গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েল। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইজরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় কমপক্ষে ৪০,৬০২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯৩,৮৫৫ জন আহত হয়েছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষার বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জাবালিয়া ও খান ইউনিসসহ গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চলছে। সাম্প্রতিক হামলায় গাজায় অন্তত আরও ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনী জেনিন শহর অবরোধ করে রেখেছে। ফলে ফিলিস্তিনিরা খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইজরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিমতীরে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ও কয়েকজন শিশু রয়েছে।

গাজায় শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়ার জন্য মানবিক বিরতি দিতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন  শুক্রবার বলেন, “গাজা উপত্যকার প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি রোববার থেকে শুরু হবে।”

গাজার মধ্য, দক্ষিণ ও উত্তর অংশে তিন ধাপে এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। প্রতি ধাপে টানা তিন দিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লড়াই বন্ধ থাকবে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি গাজায় ২৫ বছর পর ১০ মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা শিশুটির শরীরের একাংশকে প্যারালাইজড করে দিয়েছে।

জাতিসংঘ কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এজন্য দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া, যা ভাইরাসটি প্রতিরোধে অত্যন্ত জরুরি। সূত্র: আল জাজিরা