গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ০৬, ২০২৫

গাজায় ইজরায়েলি গণহত্যা ও ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাকস্বাধীনতার ওপর দমনপীড়নের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউজের সামনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবচেয়ে বড় এই বিক্ষোভের লক্ষ্য ছিল মার্কিন অর্থায়নে রক্তপাতের নিন্দা করা। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের অধিকারে সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া ইজরায়েলকে মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়।

বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের সামনের রাস্তায় শিশুদের জুতা রাখে, যা চলমান আগ্রাসনের সময় নিহত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর প্রতীক। এছাড়া নিহত ফিলিস্তিনিদের নামের তালিকাযুক্ত একটি বিশাল ব্যানারও প্রদর্শন করা হয়। গাজায় গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতে গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে গণহত্যা বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

গাজায় ইজরায়েলি হামলায়  গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলি বাহিনী গাজায় ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৬২ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এর মধ্যে রোববার ভোর থেকে চালানো হামলাতে মারা গেছে ৩০ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইজরায়েলি নিহত হয়। এসময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে বেশির ভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। মন্ত্রণালয়টির দেওয়া হিসাবে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধার আলাদা হিসাব দেওয়া হয়নি। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইজরায়েল প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করার দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।