গাজায় ইজরায়েলের প্রধান ৩ লক্ষ্য ঘোষণা করলেন নেতানিয়াহু

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জন্য ইজরায়েলের ৩টি মূল লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

নেতানিয়াহু বলেন, “আমি সকল বন্দিকে মুক্ত করা এবং আমাদের যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করা সমর্থন করি। যার মধ্যে রয়েছে হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং নিশ্চিত করা যে, গাজা আর কখনো ইজরায়েলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমার ৩টি লক্ষ্য রয়েছে। আমরা অবশ্যই তা অর্জন করব। আমি সম্মানিত বোধ করছি। কারণ, হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত প্রথম বিদেশি নেতা আমি। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু।”

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ইজরায়েলের জন্য যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন, যেমন ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসা, আব্রাহাম চুক্তি বাস্তবায়ন করা এবং মার্কিন দূতাবাসকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেখান থেকেই কাজ শুরু করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “গাজা জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাম্পের নেতৃত্ব বেশ কয়েকজন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন আগের মার্কিন সরকারের দ্বারা আটকে রাখা গোলাবারুদ মুক্ত করেছে, ইজরায়েলি নাগরিকদের ওপর আরোপিত অন্যায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে পুনরায় সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ শুরু করেছে।”

গাজা খালি করে যুক্তরাষ্ট্রের দখল করার ট্রাম্পের পরিকল্পনা নেতানিয়াহু সমর্থন করে বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন, যা ইতিহাস বদলে দিতে পারে। এটি মনোযোগ দেওয়ার মতো একটি বিষয়, এবং এটি সত্যিই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে।”

নেতানিয়াহু ট্রাম্পের কৌশলকে বাক্সের বাইরে চিন্তা করার একটি দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করে বলেন, “ট্রাম্প প্রচলিত ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখাচ্ছেন। ট্রাম্প ইজরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু এবং ইজরায়েলি জনগণ তার প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাশীল।” সূত্র: এনডিটিভি