
গাজায় আটকে আছে ২০ লাখের বেশি মানুষ: জাতিসংঘ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : এপ্রিল ১৮, ২০২৫
গাজার ভেতরে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ আটকে আছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, “গাজার ভেতরে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ আটকে আছে। চলমান যুদ্ধ ও সাহায্য সরবরাহ কমায় মানসিক চাপের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।”
মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) উদ্ধৃতি দিয়ে ডুজারিক বলেন, “গাজায় মানবিক সাহায্যসহ পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের ওপর ইজরায়েল ২ মার্চ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর থেকে মানবিক সরবরাহ প্রায় কমে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রায় ৯০ শতাংশ পানি সম্পদের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে পানি খাত গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি, দখলদার শক্তি হিসেবে ইজরায়েলের আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে স্পষ্ট বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, চিকিৎসা সরবরাহ ও জনস্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা।”
পশ্চিম তীরের বিষয়ে ডুজারিক বলেন, “উত্তরে ইজরায়েলি অভিযান অব্যাহত থাকায় হাজার হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং বাড়ি ফিরতে পারছে না।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই ১৫ মাস যুদ্ধের পর ১৯ জানুয়ারি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
এটি ছিল ৩ পর্বের। প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।
তবে ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ না করে ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। এই হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অভিযান শুরুর পর থেকে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী। সূত্র; আনাদোলু এজেন্সি