গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান ইউরোপীয় ইউনিয়নের

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ২৪, ২০২৫

গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস। কায়রোতে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির সাথে রোববার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

কাজা কালাস বলেন, “আমরা ইজরায়েলের পুনরায় শত্রুতা শুরুর তীব্র বিরোধিতা করি। যার ফলে গাজায় ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটে। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। নতুন যুদ্ধে উভয় পক্ষই হেরে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এটা খুবই স্পষ্ট যে, হামাসকে অবশ্যই সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি ইজরায়েলকে অবশ্যই গাজায় মানবিক সহায়তা সম্পূর্ণরূপে পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং আলোচনা পুনরায় শুরু করতে হবে।”

কালাসের কার্যালয় পরে জানায়, তিনি মিশর ছেড়ে ইজরায়েলে পৌঁছেছেন। সোমবার সেখানে এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোয় আলোচনার সময় তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি-জিম্মি মুক্তি চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে ফেরত আসার আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজায় এবং সমগ্র অঞ্চলে মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার ও টেকসই বিতরণের গুরুত্বও তুলে ধরবেন কালাস।

জাতিসংঘ শুক্রবার বলেছে, ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর ইজরায়েল পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে গাজা দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হয়েছে।

সাহায্য কর্মীরা সতর্ক করেছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনায় অচলাবস্থার কারণে এই মাসের শুরুতে গাজায় সাহায্য ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ইজরায়েলি সিদ্ধান্তে আরো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার ও বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিডের সাথে ক্যালাসের দেখা করার কথা রয়েছে। তবে তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করবেন না।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

তার কার্যালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে, ক্যালাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার সাথে আলোচনা করবেন।

ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলি পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস, একে সকল পক্ষের স্বাক্ষরিত চুক্তির লঙ্ঘন বলে প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশ এবং ইজরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের জন্য ইজরায়েলি জিম্মিদের বিনিময় সম্ভব হয়েছিল।