গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যার শামিল: জাতিসংঘ কমিটি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১৬, ২০২৪
গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যার শামিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি কমিটি। ইজরায়েলের আচরণ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ কমিটি ক্ষুধার্ত রাখাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্যও এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে বর্ণবৈষম্যবাদ ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য ইজরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে।
ইজরায়েলি পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে তারা জাতিসংঘকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করা অভিযোগ এনেছে।
ইজরায়েলের দখলদারিত্বের ওপর নজরদারি করতে জাতিসংঘের বিশেষ এই কমিটি ১৯৬৮ সালে গঠন করা হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ঘটে যা্ওয়া বিষয়গুলি এই বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত দক্ষিণ আফ্রিকার একটি দাবি তদন্ত করে দেখছে যে, গাজায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযান গণহত্যামুলক। ইজরায়েলি সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার হিউমান রাইটস ওয়াচ ইজরায়েলকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। এই সিদ্ধান্তও ইজরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইজরায়েল বারবার বেসমারিক লোকদের স্থানচ্যূত করিয়েছে এবং অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। তারা জোরপূর্বক অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার মতো যুদ্ধাপরাধ করছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড জাতিগোষ্ঠীগত নিধনযজ্ঞ সংজ্ঞার সমতূল্য। কারণ এখানে ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসতে দেয়া হবে না।
এর জবাবে ইজরায়েল এই সংগঠনকে দোষারোপ করে জানিয়েছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বাস্তব বিবর্জিত। ইজরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইজরায়েলের প্রচেষ্টাগুলি কেবলমাত্র হামাসের সন্ত্রাসী সক্ষমতাকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নিহিত, গাজার জনগণের বিরুদ্ধে নয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন বিবৃতিতে বলেন, “ইজরায়েল সব অসামরিক ক্ষতিকে শোকের বিষয় বলে মনে করে। অথচ হামাস সব অসামরিক ক্ষতিকে কৌশল হিসেবে দেখে। ইজরায়েল সশস্ত্র সংঘাতের নিয়ম অনুয়ায়ী অভিযান চালিয়ে যাবে।”