সংগৃহীত ছবি
কেউ হার্ট অ্যাটাক করলে কী করবেন?
স্বাস্থ্য ডেস্কপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
হঠাৎ করে পরিবারের কেউ হার্ট অ্যাটাক করবেন তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। অথচ এসময় মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কেউ হার্ট অ্যাটাক করলে ঠান্ডা মাথায় রোগীকে যত দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যাবে, মৃত্যুর ঝুঁকি তত কমবে। এসময় ঘাবড়ে গিয়ে দেরি করে ফেললে বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়ে।
এই জরুরি সময়ে কী করবেন চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-
হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ—
বুকে ক্রমাগত ব্যথা (যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে চোয়াল, কাঁধ, দাঁত, গলা ও হাতে)
হঠাৎ হৃদস্পন্দন খুব বেড়ে যাওয়া কিংবা একদম কমে যাওয়া
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
বুকে মাঝখানে অস্বস্তিকর চাপ লাগা
বুক ভারী লাগা
শ্বাস ছোট হয়ে আসা
মাথা ঘোরা
জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
বমি বমি ভাব
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে প্রথম এক ঘণ্টা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন। খেয়াল রাখবেন, যেন রোগীর সঙ্গে সারাক্ষণ কেউ থাকেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা দিন। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কী করতে পারেন জানুন-
শান্ত করুন
হার্ট অ্যাটাক করলে রোগী শক পেতে পারেন। জীবনে ঝুঁকি আছে বুঝতে পারলে শক খাওয়া স্বাভাবিক। প্রথমেই রোগীকে শান্ত অবস্থায় নিয়ে আসুন।
অ্যাসপিরিন
রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে, তবে অ্যাসপিরিন দিন। এসময় অ্যাসপিরিন ওষুধ চিবিয়ে খেতে পারলে বিপদের ধাক্কা অনেকটাই সামলানো যাবে। রোগীর ওষুধ খাওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকলে জিভের তলায় একটি সর্বিট্রেট রেখে দিতে পারেন।
শ্বাসে নজর দিন
রোগী ক্রমাগত শ্বাস, পালস রেট ও রোগী কেমন সাড়া দিচ্ছেন— সবদিকে খেয়াল রাখুন। জিভ উল্টে আছে কি না সেটিও দেখুন। মুখে কফ বা লালা আটকে থাকলে তা আঙুলের সাহায্যে বের করে শ্বাস চলাচলের পথ সহজ করে দিন। জিভও সোজা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে মুখে একটি চামচ দিয়ে রাখুন।
বাঁ পাশ ফিরিয়ে শোয়ান
রোগীকে বাঁ পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে রাখুন। বাঁ হাতের ওপর মাথা দিয়ে ডান হাতটি স্বাভাবিক রাখুন। ডান দিকের পা মুড়ে বুকের কাছে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
এসময় রোগীর শ্বাস নিতে পারা খুব জরুরি। তাই ঘরের দরজা, জানালা খুলে রাখুন। শান্ত ও খোলামেলা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করুন।