কাজল রশীদ শাহীন
কাজল রশীদ শাহীনের ৪ কবিতা
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
উন্নয়ন
রনবীর টোকাই
টোকাতে টোকাতে
স্বর্গও টুকেছিল একদিন
লেখা ছিল সেখানে,
Development of the people
by the people
for the people
রনবী কি জানে
কেন ওঁর টোকাইয়ের
পেট এত মোটা
কেন ওরা থাকে উপোস
৮৪ ঘণ্টা
বোকা টোকাই গিলে খায়
স্বর্গটা, আমরা যখন পড়ি—
স্বর্গ মানে উন্নয়ন
স্বর্গ মানে Development
স্বর্গ মানে রনবীর টোকাইয়ের
মোটা পেট
কুঁজো কামরুল
কুঁজো কামরুল
রাজা হতে চেয়েছিল নিত্যদিন
রাজা হতে পারিনি কোনোদিন
কুঁজো কামরুল
রাখাল হতে চেয়েছিল একদিন
পেল রাখালের ভাগ্য প্রতিদিন
কুঁজো কামরুল
না জানে ঈশ্বরের সংজ্ঞা—
‘ভাত দেয়ার ভাতার না
কিল মারার গোঁসাই’
বৃষ্টি পারে না ছুঁতে…
পাখিরা কীভাবে ওড়ে আকাশে এই ভাবনায়—
গরিবের ঘোড়ারোগ জেনেও, রুলামিনের শখ
ছিল একবার প্লেনে ওঠার—
ন্যাপথলিনের গন্ধ মাখা সেই দীর্ঘশ্বাস নিয়ে
রুলামিন মেট্টোরেলের দিকে তাকায় এমনভাবে
যেন মেট্টোরেল গরিবের প্লেন…
একজন রিটায়ার্ড আমলা জুতা পালিশের জন্য
রুলামিনের হাতে পা রেখে বলেছিল সেদিন
মেট্টোরেলের ভাড়া কিঞ্চিত বেশি
জানি উঠতে পারবি না কোনো দিন—
তবে হ্যাঁ, প্লেন তোদের কোনো কাজে না আসলেও
মেট্টোরেল কিন্তু ঠিকই আসে কাজে—
এই যে বৃষ্টি হলেই কেমন মেট্টোরেলের নিচে দাঁড়িয়ে যাস
আর বৃষ্টি পারে না ছুঁতে…
অমর্ত্য সেনের সঙ্গে অসমাপ্ত আলাপ
আপনাদের দেশের জনসংখ্যা কত?
-ষোল কোটি আবার বিশ কোটি
দুটোই হয় নাকি, একটা ডিজিটাল
অন্যটা কি বাইনারি? অবশ্য গর্ব দুটোতেই
এত এত সম্পদ!!! বিশাল ব্যাপার নিশ্চয়ই
-স্যার, এত সম্পদ কই দেখলেন
এর মধ্যে তো অর্ধেকই কবি
ও বুঝছি, একারণেই ওদেশ ওরকম
সাধে কি আর প্লেটো-প্রফেটেরা
বলেছিলেন, কবিরা কখনো…
দুঃখিত, লোডশেডিংয়ের কারণে
সাক্ষাৎকারটা পুরো নেয়া সম্ভব হলো না