কাজল কানন

কাজল কানন

কাজল কাননের পাঁচটি কবিতা

প্রকাশিত : জুলাই ০৩, ২০২৪

মধুর জীবন

শূন্যপ্রায় গরিব ফ্রিজ
দুই মাস অপেক্ষায় ছিল
অর্ধেক ইলিশ

কচু কেনা যাচ্ছে না
দীর্ঘ অবসর শেষে
হঠাৎ খোলায় উঠলো
মলিনপ্রায় ইলিশটুকু
এমন সময় বাইরে
কচু বিক্রেতার হাঁক!

না, থাক
অন্য কোনো সময়
মিলবে সাধ ও সাধ্যের ফাঁক

অমানুষ

অমানুষেরও নিজেকে নিয়ে ধারণা থাকতে পারে
সেই ধারণায় তুমি কতটা অমানুষ নও
অমানুষেরও হাত ধরার তফসিল থাকতে পারে
তোমার হাত কতটা নিরেট
অমানুষেরও রক্তাক্ত ক্ষয়ক্ষতি থাকতে পারে

তুমি তো মানুষ
তোমার কোনো রক্তপাতহীন ধারণা আছে কি
মানুষ সম্পর্কে

বন্ধুশ্রেণি

কখনও ভাবিনি একটি তফসিলি তারা হবো
দিনক্ষণ ঠিক রেখে তোমাদের চোখ এড়িয়ে
নেমে পড়বো উঠানে কবরে কিংবা এনিয়ে

যতই অবহেলা পাই— অথৈ তালি বাজাই
বাজুক মাছরাঙা, নটীর ডুগডুগি
প্রতিইঞ্চি আমি এমন জ্বরে ভুগি

দিও না করুণ ইশারা বিহঙ্গভরা জঙ্গলে

বাবাকে ডাকি

বাবা যখন গান গাইতেন
ঘরে ছায়া পড়তো পরীর
বাবাকে বলতাম পরী নেব
তিনি বলতেন গান নাও
আমি বলতাম আমার কণ্ঠ ভালো নয়
তিনি বলতেন গান কণ্ঠের কাজ নয়
আমি বলতাম সবাই তো বলে
বাবা বলতেন সবাই বললেই সব হয় না
এরপরও আমি পরীই চাইলাম
বাবা আমার মন ভাঙলেন না

এখন প্রতিবারই গান তোলার
চেষ্টা করলে গলায় পরী আটকে যায়
এই দশা কাটাতে বাবাকে ডাকি

বাড়িফেরা

বাড়ি যাবে আমার দমকল
পথে পথে দৌড়ায় মায়ের বুদবুদ
আমি বইয়ে আনি পাথরের দুধ—
                             কখন বাড়ি

শেলাই হচ্ছে দম, শেলাই হচ্ছে বোন
                             বাড়ি ফিরি আমি
কৈবর্ত্য কন্যার বস্ত্রভেদী স্তন
গম্ভীর সাধু-সন্ন্যাসীর মতোন
নেমে আসে অলৌকিক জলে

আমার বিস্তারিত ভিজে যায় জাম্বুরা ফলে