দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সৈন্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান সৈন্য

করোনাকে নয়, ভয় পাওয়া উচিত বিশ্ব ব্যবস্থাকে

শেষ পর্ব

রাহমান চৌধুরী

প্রকাশিত : জুন ২১, ২০২০

সকলকে পুনরায় ঠাণ্ডা মাথায় করোনা ভাইরাসের সংকটটি নিয়ে যুক্তিসঙ্গতভাবে বিচার বিবেচনা করতে বলবো। করোনার চিকিৎসা নেই, কথাটা ঠিক নয়। হ্যাঁ, টিকা নেই রোগ প্রতিরোধের জন্য, থাকলে ভালো হতো। কিন্তু আক্রান্ত হলেও ভয়ের কিছু নেই। প্রায় আটানব্বই-নিরানব্বই শতাংশ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার চিকিৎসা রয়েছে, আর তা খুব ব্যয়বহুল নয়। করোনায় আক্রান্ত হলে সুস্থ হয়ে উঠতে আশি-পঁচাশি শতাংশ মানুষের কিছুই লাগবে না। সুস্থ হবার জন্য দশ থেকে পনেরো শতাংশের লাগবে কিছু সাধারণ অষুধ। বাকি বড়জোর পাঁচ-সাত শতাংশের লাগতে পারে অক্সিজেন। যদি অক্সিজেন দেয়া যায় তাহলে আটানব্বই শতাংশের বেশি মানুষ বেঁচে যাবে। বাকি যে দু-শতাংশ মানুষ যারা শারীরিকভাবে আরো ভঙ্গুর বা বেশি সংকটজনক, নিশ্চয়ই দরকার বোধে তারা ঘরে থাকবে নিজেদের স্বার্থেই। নিশ্চয়ই সেসব মানুষকে ঘরে সাবধানে রাখাটা কঠিন কিছু হবে না। হয়তো বয়সজনিত কারণে এদের একটা অংশ ঘরেই থাকে। কিন্তু দু-শতাংশ মানুষের জন্য বাকি সকলকে ঘরে বন্দি করে রাখার মানে হয় না। নব্বই শতাংশের করোনার আক্রমণে বিশেষ কিছুই দরকার হচ্ছে না। নব্বই শতাংশ মানুষ তবে কাজকর্ম ফেলে ঘরে বসে থাকবে কেন? বিশ্বটাকে কেন মনে করবে কারাগার? নিজেদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন তারা, যখন যেখানে আক্রান্ত হন দেশে কিংবা বিদেশে, আক্রান্তরা সেখানেই তা দেশে হোক বা বিদেশে হোক প্রয়োজন হলে হাসাপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে যাবেন। বিশ্বের প্রতিটি দেশকে এখন থেকে সকলের জন্য সেরকম ব্যবস্থা রাখতে হবে। সকল হাসপাতালে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় রোগীদের অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা।

সব বিচারে অক্সিজেন সরবরাহ করাটা করোনা ভাইরাসের প্রধান চিকিৎসা সেটা এরই মধ্যে বোঝা গেছে। বাসায় বা হাসপাতালে নানাভাবে সেটার ব্যবস্থা করা যায় সংকটজনক রোগীদের ক্ষেত্রে। পৃথিবীর জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা এটা, হাসপাতালে অক্সিজেন দেয়ার সুবিধা বাড়াতে হবে। সরকারি হাসপাতাল বাড়াতে হবে আর সেখানে প্রয়োজন মতো অক্সিজেন দানের সুযোগ থাকতে হবে। চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে দুটা পেশাই মানবসেবার সঙ্গে যুক্ত। ফলে মানবসেবার প্রশিক্ষণ বা শিক্ষাটা দিতে হবে তাদেরকে সর্বাগ্রে। চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে অনেকটা বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বাংলাদেশে। চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ানো মানে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করা। মানুষকে তখন আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটে বেড়াতে হবে না। চিকিৎসা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। স্বাস্থ্য বা চিকিৎসা নিয়ে মানুষকে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলে চিকিৎসা ক্ষেত্রের এই ব্যয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। রাষ্ট্রের যে পরিমাণ টাকা বিভিন্নভাবে লুট হয়ে যায় তা দিয়ে এরকম চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। চিকিৎসাসেবা দিয়ে দরকারে বিভিন্ন সময়ে বিদেশি মুদ্রা অর্জন করা যাবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে চিকিৎসাসেবা খাতে জনবল নিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিশেষ একটি উপায় হতে পারে। চিকিৎসা কেন নানারকম কর্মসংস্থান করে দেশের যুবকদের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এর। দরকার তার জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ।

প্রথম মহাযুদ্ধের পর জার্মানিতে সত্তর লক্ষ বেকার ছিল। বহুদিন পর্যন্ত সে সঙ্কটের সমাধান হচ্ছিল না। জার্মানি ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। হিটলার ক্ষমতায় এলেন। বড় বড় রাজনীতিকরা যা পরেননি, হিটলার নিজের পরিকল্পিত যুদ্ধের প্রয়োজনে কর্মহীনদের নানারকম কাজে নিয়োগ দিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান করেছিলেন। তিনি বেকারদের নিয়ে বিরাট এক সামরিক বাহিনী বানিয়ে ফেলেছিলেন। বিভিন্ন যুদ্ধ কারখানায় কাজ দিচ্ছিলেন। হিটলার এমনিতেই এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেননি। কিছু কারণ ছিল। কয়েক বছরের মধ্যে পঞ্চাশ লাখ যুবকের কর্মসংস্থার করা সহজ কর্ম নয়। কিন্তু হিটলার তাদের কিছুতেই বেকার থাকতে না দিয়ে নানাভাবে কাজে লাগান। হিটলারের মতো আমি সেনাবাহিনী বাড়াবার কোনো পরামর্শ দিচ্ছি না। কথাটা একটা উদাহরণ মাত্র। কিন্তু শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা তো বাড়ানো যেতেই পারে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে দরকারও রয়েছে। দরকার দুর্নীতি বন্ধ করা আর জনকল্যাণমূলক সুচিন্তিত পরিকল্পনা নেয়া। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক। ফলে বাইরের থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানী কমিয়ে সেসব পণ্যের কারখানা দেশে প্রতিষ্ঠা করলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হবে। জ্ঞানবিজ্ঞানের সাধনায় বা বিভিন্নরকম গবেষণার জন্য দেশের মেধাবীদের যুক্ত করতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় সব আবিষ্কার নিজের ঘরেই হতে হবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান কিট কিংবা কিছু আবিষ্কার করলে, সেটার সকল দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও সৃষ্টিশীল মেধার পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। দুর্বলতা থাকলে সেটা বাতিল না করে উন্নত করার জন্য সহায়তা দিতে হবে। বিশ্বে এভাবেই বড় বড় বিজ্ঞানীর জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশও এই প্রক্রিয়ায় জ্ঞানবিজ্ঞানের জগতে, বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বড় বড় অবদান রাখতে পারবে। বাংলাদেশের মেধাবীরা অন্য দেশে গিয়ে অনেক কিছু করতে পারলে নিজ দেশে না পারার কিছু নেই।

বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে মানসম্পন্ন চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বাড়ালে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। করোনা বা তার চেয়ে ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রমণে চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মারা যাবে না। তাহলে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের মান বাড়বে, তাদের প্রাণশক্তি এবং কর্মক্ষমতা বাড়বে। রাষ্ট্রের চেহারাটাই তাহলে পাল্টে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে উৎপাদন। বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে যখন বেকারত্ব কমে যাবে নানারকম বিশৃঙ্খলা কমে আসবে। সকল সেবামূলক খাতে, পরিবহন ব্যবস্থায়, ব্যক্তিগত উৎপাদনে সর্বত্র লক্ষ্য করা যাবে সুশৃঙ্খলা। রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা কমে যাবে। সকল রকম সন্ত্রাস বা নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাস পাবে। করোনা ভাইরাস অন্তত এটাও দেখিয়েছে, যখন বিভিন্ন দেশের সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাবে প্রতিটি দেশকে যতটা সম্ভব নিজের উপর নির্ভরশীল হতে হবে। নিজের উপর নির্ভরশীল হতে গেলেই, একই সঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়বে। কর্মসংস্থান অর্থনীতিকে চাঙা করে। মানুষের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। কর্মসংস্থানের খাতগুলি সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। কর্মসংস্থান কেমন করে একটি দেশের চেহারা পাল্টে দেয় তার বিরাট উদাহরণ হলো, প্রথম মহাযুদ্ধে বিধ্বস্ত জার্মানী। ঘটনাটা হিটলারের হাত দিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সেটা শিক্ষণীয় সকলের জন্য। হিটলার সেটাকে ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করেছিল, কিন্তু মঙ্গলজনক কাজেও তা ব্যবহার করা যায়।

বিপদ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে জার্মানি উদাহরণ দিয়েই শেষ করা যাক। নিঃসন্দেহে প্রথম মহাযুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জার্মানী। যুদ্ধে জার্মানরা পরাজিত হয়। ফলে যুদ্ধের নানা দায়-দায়িত্ব জার্মানিকে বহন করতে হয়, বিশেষ করে যুদ্ধ বাধানোর দায়ে ক্ষতিপূরণ দান তাদের জন্য বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। ফ্রান্সের প্রস্তাব ছিল জার্মানি বিয়াল্লিশটি বাৎসরিক কিস্তিতে এক হাজার একশো বিশ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উনিশশো একুশ সালের মে মাসে জার্মানির জন্য মোট দেয় ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ছয়শো ষাট কোটি পাউন্ড। জার্মানি তার প্রথম কিস্তি পাঁচ কোটি পাউন্ড শোধ করল। তিন বছরের শর্তে এটাই ছিলো তার নগদ অর্থে দেয় পরিশোধ। জার্মানির পক্ষে পরবর্তী ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো। জার্মানি মিত্র শক্তিকে দেয় ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ফ্রান্স জার্মানির ধাতু শিল্পের কেন্দ্রস্থল এবং কয়লা, অশোধিত লোহা ও ইস্পাত উৎপাদনের শতকরা আশিভাগ যেখানে পাওয়া যেত, সেই রূঢ় অঞ্চল দখল করে। রূঢ় অঞ্চল দখলের পর জার্মানির সার্বিক অর্থনৈতিক জীবন থমকে দাঁড়ালো। এর পরিণতিতে জার্মানিতে চরম মুদ্রা সংকট দেখা দেয়।

বিশ সালের মাঝামাঝি মার্কের মূল্যমান তার স্বাভাবিক হার এক ডলারের বিনিময়ে বিশ মার্ক থেকে নেমে দাঁড়াল পাউন্ড প্রতি দুশো পঞ্চাশ মার্ক। একুশ সালের মাঝামাঝি তা বেড়ে দাঁড়াল এক পাউন্ড সমান একহাজার মার্ক। তেইশ সালে পাউন্ড প্রতি পঁয়ত্রিশ হাজার মার্ক পাওয়া যেত। সে সময় মাত্র কয়েক পেন্সের বিনিময়ে জার্মানীতে রাজার হালে জীবন যাপন করা যেত বা যে কোনো বিদেশি মাত্র কয়েক শিলিংয়ের বিনিময়ে জার্মানির সর্বত্র পরিভ্রমণ করতে পারতো। তেইশ সাল শেষ হবার আগেই মার্কের মূল্যমান আরো নেমে গিয়ে এক ডলার সমান দাঁড়াল বিরাশি কোটি মার্ক। সে সময় এক জোড়া জুতার জন্য পঞ্চাশ লাখ মার্ক দিতে হতো, ছাপাখানায় মুদ্রিত একটি সংবাদপত্রের জন্য দিতে হতো বিশ লাখ মার্ক। সুটের একটি কাপড় সংগ্রহের জন্য বিশ সপ্তাহ কাজ করতে হতো। জার্মানির অবস্থা এমন দেউলিয়ার পর্যায়ে গিয়েছিল যে, জার্মানির রাইখস ব্যাংককে টাকা সরবরাহের জন্য তিনশো কাগজের মিল এবং বিশ হাজার ছাপাখানা বসাতে হয়েছিল। সেখানে চব্বিশ ঘণ্টা টাকা ছাপানোর কাজ চলতো। বোঝাই যাচ্ছে যুদ্ধের পর জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। হিটলার সেই অবস্থা থেকে জার্মানির আর্থিক সঙ্গতি এমন জায়গায় নিয়ে যান, এমন বিরাট সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন আর যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে সকলকে এমনভাবে ছাড়িয়ে যায়, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রথম চার বছর জার্মানিকে কেউই যুদ্ধে হারাতে পারেনি।

ফলে অর্থনীতিকে চাঙা করার নানা রাস্তা থাকে। কৃষিকে রক্ষা করা আর কর্মসংস্থান তৈরি করা তার প্রধান একটি দিক। জনগণের স্বাস্থ্য সেক্ষেত্রে প্রধান আর একটি বিবেচনার বিষয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পুরানো আমলাতন্ত্র দিয়ে, পুরানো রাজনৈতিক কৌশল দিয়ে আর বিরাট কিছু অগ্রগতি হবে না। সম্পূর্ণ নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। সারা বিশ্ব জুড়েই এ নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা পাওয়া যাবে। সারা বিশ্বে অনেক নিজেদের অর্থনীতির পুনর্মূল্যায়ন করছে। বহু রাষ্ট্রই বর্তমাস সঙ্কটের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে নতুন করে সাজাবে। বাংলাদেশকে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বা পাল্লা দিয়ে চলতে হবে। করোনা বিশ্বের জন্য নতুন কী পরিবর্তন আনবে? হয়তো খুব বেশি কিছু নয়। করোনা ভাইরাস রাতারাতি মানুষের সকল চিন্তাকে পাল্টাতে পারবে না। বিরাট পরিবর্তনের জন্য দরকার ঠাণ্ডা মাথায় বসে সুস্থ চিন্তা আর সঠিক পরিকল্পনা করা। নিশ্চয় সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু এটা ঠিক মানুষের চিন্তাভাবনার কিছু পরিবর্তন তো আসবেই। বিভিন্নমুখী নানা ছোটখাটো পরিবর্তন নজরে পড়বে। করোনার এই সংক্রমণকে ঘিরে পাওয়া যাবে বড় মাপের অনেক সাহিত্য। নিশ্চয় পাওয়া যাবে নতুন দর্শনের আলোচনা। মানুষকে সামনের দিকে তাকাতে তা বাধ্য করবে। কিন্তু পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব থেকে যাবে আরো কিছু কাল। সেই সঙ্গে মানবিক রাষ্ট্র, জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা মানুষের চিন্তায় নিশ্চয় আগের চেয়ে অনেক বেশি উঁকিকঝুকি দেবে। নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে নতুন স্বপ্ন দেখবে।