কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমানের আজ মৃত্যুদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ১৮, ২০২৪
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমানের আজ জন্মদিন। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। ১৯১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে তার জন্ম।
তার পিতার নাম বশির উদ্দিন প্রামানিক ও মাতার নাম সবুরুন নেছা। শিশুবয়সে পিতা মৃত্যুবরণ করার পর তার শিক্ষাজীবনের ইতি ঘটে। এ সময় তিনি স্থানীয় যাত্রা ও নাটকের দলে যোগদান করেন।
১৯৩৮ সাল থেকে আজিজুর রহমান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকাতে তার লেখা কবিতা ও গান পাঠানো শুরু করেন। এসময় সওগাত, মোহাম্মদী, আজাদ, নবশক্তি, আনন্দবাজার, ভারতবর্ষ, বুলবুল, শনিবারের চিঠি পত্রিকাগুলোয় নিয়মিতভাবে তার সাহিত্য বিষয়ক লেখা প্রকাশিত হতো।
কুষ্টিয়াতে তিনি একটি নাট্যদল গঠন করেন এবং এতে অভিনয়ও করেন। দলটি শিলাইদহের ঠাকুর বাড়িতে নাটক মঞ্চস্থ করতো। ১৯৫৪ সালে আজিজুর রহমান ঢাকা বেতারে (বর্তমান বাংলাদেশ বেতার) নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬০ সালে আলাপনী শীর্ষক একটি কিশোর মাসিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক পয়গামের সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক ছিলেন।
আজিজুর রহমান দুই হাজারের বেশি গান রচনা করেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায় রে, কারো মনে তুমি দিও না আঘাত, সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে, আকাশের ঐ মিটি মিটি তারার সাথে কইবো কথা, নাই বা তুমি এলে, পৃথিবীর এই পান্থশালায়, হায় পথ ভোলা কবি, আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি।
তার রচিত বইগুলো হচ্ছে, ডাইনোসরের রাজ্যে (১৯৬২), জীবজন্তুর কথা (১৯৬২), ছুটির দিনে (১৯৬৩), এই দেশ এই মাটি (১৯৭০) এবং উপলক্ষের গান (১৯৭০)।
আজিজুর রহমান প্রায় তিনশোর বেশি কবিতা রচনা করেন। তার মধ্যে নৈশনগরী, মহানগরী, সান্ধ্যশহর, ফেরিওয়ালা, ফুটপাত, তেরশপঞ্চাশ, সোয়ারীঘাটের সন্ধ্যা, বুড়িগঙ্গার তীরে, পহেলা আষাঢ়, ঢাকাই রজনী, মোয়াজ্জিন, পরানপিয়া, উল্লেখযোগ্য।
আজিজুর রহমান ১৯৩১ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের ফজিলাতুন নেছার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির তিন ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। তিনি ১৯৭৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।