উপদেষ্টা পরিষদে ফারুকী, অপসারণ চেয়ে জাবিতে বিক্ষোভ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১১, ২০২৪
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বটতলা এলাকা থেকে শহিদ সালাম-বরকত হল ঘুরে পুনরায় বটতলায় এসে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়ামের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান লিমন বলেন, “যেই মুজিব ও মুজিববাদকে পুঁজি করে ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণহত্যা চালানো হয়েছে সেই ফ্যাসিস্ট আদর্শের প্রতি সহানুভূতিশীল কাউকে অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র জনতার সরকারে অন্তর্ভুক্তি সরাসরি শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।”
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, “প্রায় দুই হাজার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে আমরা এ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আপনারা দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার কাজ করবেন। যেভাবে আপনারা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছেন, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগকে এই বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
তিনি আরওা বলেন, “যারা আমার ভাইদের আহত করেছে, শহিদ করেছে, তাদেরকে অতিদ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এর বদলে কোনো ফ্যাসিবাদের দোসরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে আমরা এর কঠিন জবাব দেব।”
সমাপনী বক্তব্যে ৪৯ ব্যাচের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহরাব সিফাত বলেন, “শহিদের রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমরা যে সরকার পেয়েছি, তার মাধ্যমে দেশের একটি বৃহৎ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি। জাতীয় ঐক্যের এ সময়ে ফ্যাসিবাদপ্রেমী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যারা ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের গুণকীর্তন করেছে, তাদেরকে কোনোভাবেই ক্ষমতায় দেখতে চাই না। পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে দায়িত্বে আনা যাবে না।”