উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল পুড়িয়ে দিলো ইজরায়েল

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪

উত্তর গাজার শেষ পরিচালিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি পুড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

হাসপাতালের কয়েক ডজন কর্মী ও পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াকে ধরে নিয়ে গেছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। সেনারা জোর করে চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ করায় অনেক রোগীর ভাগ্যে কী হয়েছে, তা জানা যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইজরায়েল গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।

ডব্লিউএইচও আরও জানায়, প্রাথমিক খবরে এ অভিযানে হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালানোর কথা জানিয়ে বলেছে, হাসপাতালটি হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। টেলিগ্রাম বার্তায় সংগঠনটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে দখলদার ইজরায়েলি প্রশাসন।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ইজরায়ল চিকিৎসা কেন্দ্রে আক্রমণ করার জন্য রোবট ব্যবহার করছে। এর ফলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে, যা রোগী ও চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে হতাহত ঘটায়।

ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম সংস্থা ইয়ানেট প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি রিমোট-নিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া যান (এপিসি) গাজার এমন এলাকাগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী দ্বারা তৈরি নতুন কৌশল।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের টেমের কারমাউত বলেন, “ইজরায়েল গাজায় তার বিধ্বংসী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি মোটেই পরোয়া করে না। ইজরায়েলের জন্য যুদ্ধ মানে যথারীতি ব্যবসা। অথবা, এই স্বাভাবিক গণহত্যা ইজরায়েলিদের জন্য দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা বোঝে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের থামাতে অক্ষম।” সূত্র: আল জাজিরা