উজ্জ্বল রহিম
উজ্জ্বল রহিমের ৫ কবিতা
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
সেই জীবন
সেই জীবনেই এই আমিটা ভালো ছিলাম
আমি যখন মায়ের কোলে শরৎ হাওয়ায় ঘুমাইতাম
গল্প কত পাশে শুয়ে মধুর মুখে শুনতাম
মায়ের সাথে আঙুল ধরে নানাবাড়ি বেড়াইতাম
সেই জীবনেই এই আমিটা ভালো ছিলাম
আমি যখন বাবার বুকে চুপটি করে রইতাম
বাবার সাথে রঙিন স্বপ্নে মেলাতে যাইতাম
বড় একটা সংসারে যখন সবাই আছিলাম
সেই সময়টাই ভালো ছিল
মা যখন সাজাতো খাইয়ে দিত আর পড়াতো
দুরন্ত দুর্বার বালক মহাদিগন্তে যখন হারাতো
সময়
সময় মানুষকে বিবর্ণ বানিয়ে দেয়
রূপ রস গন্ধ জৌলুস কেড়ে নেয়
সময় অজানা পথের দিকে ছেড়ে দেয়
আর এই দৃশ্যমান জীবন নাই করে দেয়
সময়ে যে কারিগর তার দৃশ্যপট থেকে যায়
জীবন চরিত্র জেগে থাকে সময়ের আয়নায়
মানুষ
পৃথিবীতে মানুষের যতটা বেড়েছে অস্ত্রের মজুদ
ততটা বাড়েনি জাগ্ৰত চোখ মানবতাবোধ
মানুষ পৃথিবীতে হয়েছে যত বড় শিক্ষিত উচ্চবিত্ত
হয়নি আজও বিবেক বিবেচনা ভাবনা গভীর তত
মানুষ ভয়ংকর বর্বর নেশায় অস্ত্র মজুদ বাড়ায়
কী কোন অজ্ঞতা মোহে অস্ত্রে পৃথিবী ভরায়
যখন ফুটবে সবকিছু ছারখার চারপাশে
কে কাকে কে রক্ষা করবে সব ধ্বংস আসে
পৃথিবীতে যতটা বেড়েছে অস্ত্রের মজুদ
ততটা বাড়েনি মনুষ্যত্ব বোধ সুবোধ
ঈদের দিনে
ঈদের দিনে আমি তোমাদের কবিতা শুনাই
যে হৃদয়ে কবিতা লেখা হয়
সে পরিষ্কার, বারবার ধৌত
মহা আকাশ বর্ণিল
জীবনের পথে সত্য নিশানা
নীরবতা আমাদেরকে শিক্ষা দেয়
দৃঢ়তা আর মৌনতা
কঠিন শেষে আলো
যে হাত কবিতা লেখে
তার গন্ধ অশেষ
দিগন্ত রেখা টান পড়লেই আলোর পথ
বাড়ি
পৃথিবী আমাদের বাড়ি নয়
পথিক বেশে মানুষের পরিচয়
এখানে সৃষ্টির সময়
গন্তব্য তার বিশাল অনন্তময়