ইরানে ইজরায়েলি হামলায় বিভিন্ন দেশের নিন্দা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ২৭, ২০২৪
ইরানে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার তীব্র নিন্দা করেছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, আফগানিস্তান ও জাপান। দেশগুলো ইজরায়েলের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর ইহুদিবাদী ইজরায়েলি সরকারের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইজরায়েল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করে সহিংসতার চক্রের অবসান ঘটানো হোক।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “দায়মুক্তির সাথে ইজরায়েলের ক্রমাগত হামলা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে থাকবে। যা এই অঞ্চলকে নিয়ে যাবে বৃহত্তর সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে।”
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, “এ ধরনের উত্তেজনা ও সংঘাতের বিস্তার আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা তেল আবিবের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে। সকল পক্ষকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সংযম ব্যবহার করতে হবে এবং উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং এই অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইজরায়েলের অবৈধ দখল এখনও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের মূল কারণ। দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কাঠামোর মধ্যে ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পশ্চিম এশিয়ায় চলমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে আমরা গভীরভা উদ্বিগ্ন। সংযম অনুশীলন এবং সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফিরে আসার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি। চলমান শত্রুতা কারোরই উপকারে আসে না, এমনকি নিরীহ জিম্মি ও বেসামরিক জনগণের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে।”
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার ইজরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশি তার মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিবৃতিতে বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক হামলায় জাপান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ায় এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা করে টোকিও। জড়িত সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানানো যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাপান সরকার বিদেশে জাপানি নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।”