ইবনে আদমের প্রবন্ধ ‘মডার্নিটি, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ও স্বাধীনতা

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯

মডার্নিটির ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ এবং স্বাধীনতার ধারণা আমাদের মাঝে এমনভাবে ঝেঁকে বসেছে যে, আমরা এখন আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও প্র্যাকটিসের ধারণাকে অস্বীকার (অন্তত কম্প্রোমাইজ) করতে শুরু করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আমাদের `ধর্মীয়` প্র্যাকটিসের জায়গাকেও আমরা freedom এর ধারণা দিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছি। আধুনিকতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রবাদ নিয়ে আমাদের সুপারফিশিয়াল বোঝাপড়া এবং নিজেদের সমাজ ও সংস্কৃতিকে এই বোঝাপড়ার আলোকে বিচার করতে চাওয়ার প্রবণতা আমাদের মধ্যে এই ধরনের সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলার তৈরি করে।

মূলত এই সমস্যাটা শুরু হয় মডার্নিটি বা আধুনিকতাকে আমরা কিভাবে দেখি সেখান থেকে। হাস্যকর শোনালেও, আমরা অধিকাংশ মানুষই আধুনিকতা বলতে একটা পশ্চিমা সাংস্কৃতিক-আইডিওলজিক্যাল ফেনোমেনা বা একটা হিস্ট্রিক্যাল পিরিয়ড এর বদলে ‘"প্রগতিশীলতা/সভ্যতা/উন্নতি/সর্বজনীনতা’ ইত্যাদির সমার্থক কনসেপ্ট হিসেবে ধরে নিই। অর্থাৎ আধুনিকতা মানেই ভালো, উন্নত, সভ্য বা সর্বজনীন। আর ট্রেডিশনাল মানেই অচল, সেকেলে, ক্ষ্যাত, বর্বর ইত্যাদি। একটা ঘটনা বলি, এক ভাইকে দুষ্টুমি করে একবার জিজ্ঞেস করা হইছিলো যে, ভাই আপনি তো `ইসলামপন্থী` মানুষ। তাইলে আপনি এইসব কোলা/পেপসির মতো সফট ড্রিংক খান কেনো? ভাইটি সিরিয়াসলি উত্তর দিয়েছিলেন যে, দেখেন আমি `মডার্নিস্ট` মানুষ। আমি এইসব মানি না। অর্থাৎ তিনি বলতে চাইছেন যে, তিনি আধুনিক/প্রগতিশীল মানুষ। তো, এই হইলো আমাদের মডার্নিটির বোঝাপড়া।

পশ্চিমা সোসাইটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার যে ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটা যে আমাদের মতো অ-পশ্চিম সোসাইটির বিদ্যমান সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পারিবারিক মূল্যবোধ ও আচারের সাথে প্রচন্ড রকম সাংঘর্ষিক এবং অনুপযুক্ত— তা আমরা বুঝে ওঠতে পারিনা, কারণ একটা সমাজের সুস্থ ও সুশৃঙ্খলভাবে জিইয়ে থাকতে তার নিজস্ব সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও আচারকে জিইয়ে রাখার প্রয়োজনীয়তাকেই আমরা বুঝতে পারিনা। ব্যক্তিস্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি রেটরিকগুলো আমাদের ভেতরের এক ধরনের অধি-ক্ষমতায়নের অনুভূতি সৃষ্টি করে, টনিকের মতো; ফলে আমরা মডার্নিটির এই বাই-প্রোডাক্টগুলোর সীমাবদ্ধতা ও ভুলগুলো ধরতে পারিনা। আর ফানো যেমনটা বলেছিলেন যে, কালো মানুষ শাদা হইতে চায়; শাদা হওয়াকেই তার নিয়তি বা পরম লক্ষ্য মনে করে— তেমনি আমরা আমাদের দুইশত বছরের কলোনিয়াল নিষ্পেষণের দগদগে ক্ষত নিয়েও পশ্চিমের মতো ‘আধুনিক’ হইতে চাই, ‘সভ্য’ হইতে চাই। কারণ আমাদের কাছে পশ্চিম ও তার মডার্নিটি মানেই হচ্ছে প্রগতিশীলতা। এটাই আমাদের সুপ্রিম গোল।

পশ্চিমা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ নিজেকে সবকিছুর কেন্দ্রস্থলে স্থাপন করে; ফলে ব্যক্তি নিজে হয়ে ওঠে (মনে করে) একজন পুরোদস্তর ক্ষমতাবান, স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী। ব্যক্তির ধারণা এখানে স্যাক্রেড, ব্যক্তি এখানে নিজেই নিজের খোদা। ফলে ব্যক্তির ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষাই তার কাছে মূখ্য হয় ওঠে; আর এই ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের অধিকাররকে সেই নিজের ব্যক্তিস্বাধীনতা মনে করে এবং যা ইচ্ছা তা-ই করে। ফলে নিজেই নিজের খোদা হয়ে ওঠা ব্যক্তির কাছে অন্যের ইচ্ছা ও স্বাধীনতা অর্থহীন। আইনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যদিওবা একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিস্বাধীনতার মধ্যে রিকনসাইলেশন হয়, অর্থাৎ ফান্ডামেন্টাল হিউম্যান রাইটস এর ধারণা এনে অন্যান্য ব্যক্তিদের পারসোলান রাইটসকে নিশ্চিত করা হয়; তবে সেখানে ব্যক্তির পারসোনাল ইন্টারেস্ট এর বাইরে সোশ্যাল-কালেক্টিভ ইন্টারেস্ট অনুপস্থিত থাকে। এই ব্যক্তিস্বাধীনতার ধারণা এতটাই প্রান্তিক যে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও আচারের ধারণাকে এখানে অবান্তর মনে করা হয়। ফলে আপনি অন্যদের ফান্ডামেন্টাল রাইটস লঙ্ঘন না করে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। কিন্তু এখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, এই ফান্ডামেন্টাল রাইটসের সংজ্ঞায়ন নিয়ে। এই সংজ্ঞায়ন অবশ্যই সাবজেক্টিভ— ব্যক্তি, সমাজভেদে এই ধারণার পরিবর্তন হয়; একইসাথে এই ধারণা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। ফেমিনিজম থেকে শুরু হয়ে LGBTQ+, হয়ে ‘ফ্রি দ্য *পল’ এর মতো মুভমেন্টগুলো সবই ব্যক্তিস্বাধীনতার হাত ধরে হাজির হয়েছে। মডার্নিটির ব্যক্তিস্বাধীনতার ধারণা মেনে নিলে আপনাকে এগুলোও মেনে নিতে হবে। কেউ দিগম্বর হয়ে ঘুরতে চাওয়াকে নিজের ব্যক্তিস্বাধীনতা মনে করতে পারে; কিন্তু অন্য অনেকের জন্যই হয়তো এরকম পরিবেশ অস্বস্তিদায়ক, এমনকি অশ্লীল ও অকল্পনীয়ও। কিন্তু মডার্নিটির সাবজেক্টিভ ফ্রিডমের ধারণা এই ব্যাপারগুলোকে কিভাবে রিকনসাইল করা হবে সে প্রস্তাবনা দিতে পারেনা। স্পিরিচুয়্যালিটি, সামাজিক সম্পর্কের ব্যাপারে এদের প্রস্তাবনা গরহাজির। ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে সামাজিক-কালেক্টিভ স্বাধীনতা/ইন্টারেস্টকে ব্যহত করা হয় প্রায়ই।

সুতরাং হাল আমলের আমাদের হিজাবি আপুরা, যারা বলেন যে, কেউ পাবলিকলি স্লিভলেস জামা অথবা টাইট জিন্স পরলো ই কি না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এই ব্যক্তিস্বাধীনতা তার থাকা উচিত— তখন তারা আসলে অনেকগুলো ভুল করেন। প্রথমত, ব্যক্তিস্বাধীনতার সাবজেক্টিভ ধারণাকে বুঝতে না পারা এবং একটা সমাজের বিদ্যমান পারিবারিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক (কালেক্টিভ) মূল্যবোধ ও প্র্যাকটিসকে ইগনোর করা। বাংলাদেশের মতো একটা মুসলিম সামাজিক সংস্কৃতিতে এই ধরনের পোশাককে সাধারণভাবে অশ্লীল ও অসামাজিক হিসেবে ধরা হয়; কিন্তু ব্যক্তিস্বাধীনতার নামে সেটাকে উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলাটা সমাজিক বিশৃঙ্খলা ও সহাবস্থানকে বিনষ্ট করে। দ্বিতীয়ত, ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে কালেক্টিভ ইন্টারেস্ট/ফ্রিডমকে বিনষ্ট করা। আপনার স্লীভলেস জামা অন্য দশজন মুসলমানের পর্দার লঙ্ঘন ঘটায়; অথচ আমি ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে অন্যের স্বাধীনতাকে হরণ করছেন সেই বোধ আপনার আসেনা, বা আসলেও পাত্তা দেননা। আবার সেই আপুরা ধর্মীয় জোর-জবরদস্তির আলাপকে সামনে নিয়ে এসে কালেক্টিভ কনসার্নের আলাপ এভাবে খারিজ করে দিতে চান যে— ‘ধর্ম’ মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার, এর জবাবদিহিতা আল্লাহর সাথে বান্দার হবে, এখানে অন্যদের না গলানোর অধিকার নাই ইত্যাদি। এখানেও অনেক গলদ আছে; প্রথমত, এটা হচ্ছে `ধর্ম`কে সেক্যুলার বয়ানে দেখার প্রবণতা, যেখানে `ধর্মের` সামাজিক-সাংস্কৃতিক উপযোগিতাকে খারিজ করে দেওয়া হয় এবং ‘ধর্ম’কে ব্যক্তিজীবনে বন্দি করে দেওয়া হয়। এই সেক্যুলার বয়ান এত বেশি সমস্যাজনক যে, এই আলাপ নামায, রোযা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ইবাদতের সামাজিক উপযোগিতাকে অস্বীকার করে; এবং এরই ধারাবাহিকতায় নামায, রোযাও আর মানুষের পাবলিক লাইফের ব্যাপার থাকেনা। দ্বিতীয়ত, ‘ধর্মীয়’ বিশ্বাসের স্বাধীনতার সাথে মুআমালাতকে গুলিয়ে ফেলা। বিশ্বাসের ব্যাপারে ব্যক্তির সাথে আল্লাহর হিসাবের ধারণা থাকলেও, সামাজিক সম্পর্কের ব্যাপারে অন্যান্য ‘ধর্ম’ বা সংস্কৃতির মতোই ইসলামের অবশ্যই নিজস্ব প্রস্তাবনা আছে, যা তার সদস্যদের ব্যাপারে তাকে দায়িত্বশীল বানিয়ে দেয়।

একইভাবে নারী অধিকারের আলাপেও ব্যক্তিস্বাধীনতার পশ্চিমা মডার্নিস্ট সংজ্ঞাকে গ্রহণ করার ফলে এ সমস্যাটা আরো প্রবল হয় এবং সামাজিক ও পারিবারিক জীবন গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। জেন্ডার রোলকে এখানে স্বাধীন-পরাধীন, কর্তা-অধস্তন এই ধরনের ডাইকোটমিতে ফেলে বিচার করা হয়। পশ্চিমা মডার্নিস্ট এবং একইসাথে ক্যাপিটালিস্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে একজন নারীর ঘরের গৃহিণী এবং মা ও স্ত্রী হয়ে ওঠা, সংসারকে পরিচালনা করা, বাচ্চাদের দায়িত্ব নেওয়া— এসব কিছুকেই পরাধীনতা, পুরুষের অধীনস্ততা হিসেবে দেখা হয়। বিপরীতে নারীদের চাকরি বা আয়-রোজকার করা ইত্যাদিকে ক্ষমতায়নের নামে নারী স্বাধীনতা হিসেবে গণ্য করা হয়; অথচ এতে একটা ক্যাপিটালিস্ট সিস্টেমকে সার্ভ করা ব্যতীত অন্য কিছু হয়না, বরং সাংসারের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সন্তানদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় প্রভাব পড়তে পারে। আমি অবশ্যই এখানে নারীদের চাকরি করা উচিত না অনুচিত— সে আলাপ করছি না। বরং আমার পয়েন্ট হচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন বা স্বাধীনতার এই পশ্চিমা মানদন্ড যে কি রকম সমস্যাজনক সেটা উল্লেখ করা।

গ্লোবালাইজেশন ও ক্যাপিটালিজমের হাত ধরে আসা মডার্নিটির ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ আমাদের আফ্রো-এশিয়ান সমাজগুলোর কালেক্টিভিজম এবং ট্রেডিশনালিজমের বোধকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আমাদের মতো সমাজগুলোতে যেখানে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ধারণা অনেক বাস্তব— সেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতার ধারণা সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্কের জন্য প্রবল ক্ষতিকারক। পশ্চিমা সমাজের পারিবারিক সম্পর্কগুলো অনেক ঠুনকো এবং পারিবারিক জীবন অনেক বেশি অশান্তিপূর্ণ।

ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের আরেকটা বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এর সাথে একাকীত্ব ও অস্থিরতা হাত ধরে আসে। যে সমাজে সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনগুলো খুব পলকা এবং একটা ক্যাপিটালিস্ট/ম্যাটেরিয়ালিস্ট স্বার্থবাদী ধারণার উপর দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে দিনশেষে একাকীত্বই মানুষের নিয়তি। মানুষজনকে বাসায় বা রাস্তাঘাটে কুকুর নিয়ে নিয়ে বেড়াতে দেখলে আমার প্রায়শই খুব করুণা হয়; বেশিরভাগ মানুষই একাকীত্বের ফাঁদ থেকে মুক্তি পাবার জন্য এইসব প্রাণীদের সাথে সময় কাটায়। এর মানে এরা খুব পশুপ্রেমী বা নরম দিলের মানুষ; এদের অনেকেই হয়তো তাদের অধস্তন বা নিম্নবিত্ত মানুষদের সাথে অনেক বেশি রুঢ় কিংবা শরণার্থীদের গালি দেওয়া মানুষ; আমি নিজে অনেকে দেখেছি এরকম। এই একাকীত্বের আরেকটা অন্যতম কারণ হলো স্পিরিচুয়্যালিটির ধারণা বা প্র্যাকটিস অনুপস্থিত থাকা। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী বৈষয়িক একটা ওয়ার্ল্ডভিউতে স্পিরিচুয়্যালিটি বা ‘ধর্মের’ সার্বজনীন প্রভাব অকল্পনীয় ব্যাপার। অথচ আমাদের বাপ-দাদা বা মা-নানীদের সময়ে এসব একাকীত্বের ধারণাই ছিলোনা, কারণ সমাজ তখনো এতটা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও পুঁজিবাদী ধারণায় ডুবে ছিলোনা; সেই সাথে তখন স্পিরিচুয়্যালিটির একটা সামাজিক ও পারিবারিক বোঝাপড়া ও চর্চা ছিলো। কিন্তু আমরা আমাদের সেই ট্রেডিশনকে হারিয়ে ফেলতে বসেছি বলেই আমাদের মধ্যে একাকীত্ব ও অস্থিরতার বোধ দিনদিন প্রবল হচ্ছে।

ব্যক্তিস্বাধীনতার মতো একটা পুরোপুরি একটা ওয়েস্টার্ন ধারণার আলাপ— যা পশ্চিমা সমাজের পুঁজিবাদী-বৈষয়িক ঠুনকো মূলবোধ্যের প্রতিনিধিত্ব করে— আমাদের মতো সমাজে সমস্যা বৈ ভালো কিছু বয়ে আনবেনা। একইসাথে এই ব্যক্তিস্বাধীনতার আলাপ প্রচন্ড সাবজেক্টিভ হওয়ার ফলে আমাদের সমাজে এই আলাপের উপযোগিতা খুবই কম— যদিনা আমরা আমাদের কলোনিয়াল লেন্স থেকে আমাদের সমাজকে দেখি। প্রত্যেকটা সামাজিক সমস্যার সমাধানের আলাপ অবশ্যই হওয়া দরকার, তবে সেটা হবে হতে নিজস্ব সামাজিক মূল্যবোধের বোঝাপড়ার আলোকে। নয়তো আমাদের এই গারবযাদেগি বা পশ্চিমাতলামি আমাদের সাংস্কৃতিক দাসত্বকে বাড়িয়েই তুলবে কেবল।