ইফতারে মুড়ি মাখা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর
লাইফস্টাইল ডেস্কপ্রকাশিত : মার্চ ২০, ২০২৪
ইফতারে বাঙালিদের রসনা মেটাতে শরবত, ভাজা-পোড়া এবং মুড়ি মাখা খাওয়ার চল বহুদিনের। অনেকেই বলেন, ইফতারের শেষ পাতে মুড়ি মাখা না খেলে যেনো ইফতার সম্পূর্ণই হয় না। তাই ছোলা, বিভিন্ন ধরনের ভাজা-পোড়া মিশিয়ে মুড়ি মাখানো হয়। অনেকেই এটিকে মুড়ি ভর্তাও বলেন।
সরিষার তেল, ধনিয়া পাতাসহ নানা ধরনের স্বাদ বর্ধক উপাদান যোগ করা হয় এতে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ইফতারে মুড়ি মাখা খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থকর? কী বলছেন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা?
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে ইফতারে মুড়ি খাওয়াই যায়। এর পুষ্টিগুণও অনেক। ১৪ গ্রাম মুড়িতে রয়েছে ৫৬ ক্যালরি। কার্বোহাইড্রেটস ১২.৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম, ফাইবার ০.২ গ্রাম, পটাসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪.৪৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৪ মিলিগ্রাম, থিয়ামাইন ০.৩৬ মিলিগ্রাম এবং নিয়াসিন ৪.৯৪ মিলিগ্রাম।
মুড়ির সঙ্গে ছোলা মিশিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা ছোলাকে সুপারফুড হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
১০০ গ্রাম ছোলায় রয়েছে ৩৭২ কিলোক্যালোরি। এছাড়াও আছে ৬০ গ্রাম প্রোটিন এবং ৫.৬ গ্রাম ফ্যাট। ছোলা ফাইবারে ভরপুর। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল, যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক আমরা ছোলা থেকে পাচ্ছি।
এতে গেল ছোলা ও মুড়ির পুষ্টিগুণ। এবার মুড়ি মাখানোয় ফেরা যাক। সাধারণত মুড়ি মাখানোয় ছোলা ছাড়াও ঘুঘনি, আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজুসহ নানা ধরনের কাবাব টুকরো করে দেওয়া হয়। অনেকেই মুড়ি মাখাতে বুরিন্দা কিংবা জিলাপিও টুকরো করে দেন। এতে করে স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু এটি কি স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ছোলা মুড়ি স্বাস্থ্যকর হলেও বিভিন্ন ধরনের তেলেভাজা দিয়ে ইফতারে মুড়ি মাখা খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে এই খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়।
ইফতারে মুড়ি মাখানো যদি খেতেই ইচ্ছে করে তবে এতে মুড়ি, ছোলা, পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনে পাতা কিংবা পুদিনা পাতা দিয়ে মেশান। স্বাদ বাড়াতে দিতে পারেন শসা ও টমেটো কুচি। সঙ্গে একটু খানি বিট লবণ ও সরিষার তেল। কিন্তু কোনোভাবেই এতে ভাজা-পোড়া মেশানো উচিত নয়। এতে করে লাভের চেয়ে শরীরের ক্ষতিই বেশি হয়।