ইজরায়েলে পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায় ধস, হাজারও মানুষ কর্মহীন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৬, ২০২৪

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজরায়েল-অধিকৃত ভূখণ্ডে ৯০টিরও বেশি হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়ে গেছে হাজার হাজার কর্মী।

ইজরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১২ আজ শনিবার জানায়, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে পর্যটন ও হোটেল ব্যবসায় মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর অধিকৃত ভূখণ্ডে প্রতি ৫টি হোটেলের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজা যুদ্ধের প্রভাবে ইজরায়েলি হোটেল বন্ধের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি এয়ার লাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে দেশটির অর্থনীতির বিভিন্ন খাত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ অবস্থায় পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার পরিবার এখন নতুন কর্মসংস্থানের সন্ধান করছে। পর্যটন খাতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি ঘাটতি দেখা গেছে।

হিব্রু ভাষার সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনথ জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননে হামলা চালিয়ে উত্তরাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ছোট ব্যবসার ৮০ শতাংশই বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বেকারত্বের হার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছ, গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসনের পর থেকে ইজরায়লের পর্যটন খাতে প্রায় ১৯.৫ বিলিয়ন শেকেল (৫.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।

ইজরায়েলি প্রশাসনের দাবি, গাজা ও লেবাননের ওপর যুদ্ধ পরিচালনার খরচ এখন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

ইজরায়লি অর্থনীতিবিদ জ্যাকব শেইনিন বলেন, “যুদ্ধের মোট ব্যয় ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে। যা প্রশাসনের মোট দেশজ উৎপাদনের GDP ২০ শতাংশের সমান।” সূত্র: ইরনা