আয়শা আহমেদের কবিতা ‘কুড়ির পরে’
প্রকাশিত : মার্চ ২৩, ২০২৪
আয়শা আহমেদের কবিতা ‘কুড়ির পরে’
পনেরোতে যে ছেলেটা আমাকে গোলাপ দিয়েছিল
আমি তাকে ভুলে যাইনি।
আমি ভুলে যাইনি— সতেরো, একুশ
কিংবা ছাব্বিশের সেইসব ঝলমলে দিনগুলিও
যে দিনগুলো আমাকে দিয়েছিল অনন্ত উচ্চতা
উচ্ছ্বল ডানার বেপরোয়া উড়াল।
আমার প্রথম উত্থান
নাজুক পায়ের টলমল কদমের শিশুতোষ পতন
ভাঙন; আমি ভুলিনি কিছুই।
আমার সবক`টা উল্লাস আমার মুখস্থ
আমার সবক`টা ক্ষতের ঘা আমার নখদর্পনে।
বাছাইকৃত হাসিগুলোকে
আমি টাঙিয়ে রেখেছি হৃদয়ের দেয়ালে দেয়ালে।
এমনকি আমার অন্ধকার, আমার কমতি,
আমার কাজল ধোয়া রাতগুলোও
স্পষ্ট মনে আছে।
আমার প্রতি ফোঁটা কান্না
কান্নার দমকে শরীরের কাঁপন, বিন্দু বিন্দু ঘাম
আর অগণিত দীর্ঘশ্বাসের পাই পাই হিসাব;
আমি টুকে রেখেছি জীবনের নোটবুকে।
আমার যাপিতজীবনের সবক`টা নিঃশ্বাস
আমি মনে রেখেছি যত্ন করে
শুধু, আপনাকেই আমি ভুলে গেছি শুভ্রনীল!
সাঁইত্রিশে পাওয়া একটা বিশ্বাসী কাঁধ
আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছে সমস্ত অপ্রেম।
আপনাকে আমি ভুলে গেছি শুভ্রনীল
আমার সংখ্যাক্রমে এখন কোনো কুড়ি নেই।
যে কুড়ি বলতে
আমি কেবল আপনাকেই বুঝেছি
যেই কুড়ির নামে আপনি এখন নিয়ম করে গালাগালের তুবড়ি ছোটান;
সেই কুড়িটা এখন আমার বিস্মৃত, প্রত্যাখ্যাত।
সাঁইত্রিশে পাওয়া একটা বিশ্বাসী কাঁধ
আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছে সমস্ত অপ্রেম।
একটা কুড়িবিহীন সংখ্যাক্রমের সরল জীবন
এখন আমার দারুণ কাটে
আপনাকে আমি ভুলে গেছি শুভ্রনীল।
শপথ ভালোবাসার,
আমার ব্যক্তিগত সংখ্যাক্রমে এখন কোনো কুড়ি নেই!