সংগৃহিত

সংগৃহিত

আসুন ধর্ষণ করি

শব্দ আহমেদ

প্রকাশিত : মে ০৭, ২০১৮

শব্দ আহম্মেদ

ও ভাই এদিকে আসেন, চলেন ধর্ষণ করি! ধর্ষণ করে একজনে বা কয়েকজনে, আর ধর্ষণ উপভোগ করে সমগ্র জাতি। শুধু পুরুষরা নয়, জাতির মেয়েরা, নারীরা এবং সাদা চুলের থুত্থুরে বুড়িরা। ধর্ষক বুক ফুলিয়ে, কলার উঁচু করে বীরের বেশে এলাকায় ঘুরে বেড়ায় আর ধর্ষিতার স্থান হয় নির্জন ঘরের কোণে, যদি সে বেঁচে থাকে!

শারীরিক ধর্ষণের পরে শুরু হয় মানসিক ধর্ষণ। পত্রিকার পাতায়, কলামে কলামে, থানায়-পুলিশের ডাইরিতে, আদালতে অসভ্য উকিলের আপত্তিকর জেরায়। দিনের পর দিন সে ধর্ষিত হতে থাকে পাড়ার বুড়োদের চায়ের আড্ডায়, বুড়ি ও ছুড়িদের মুখে মুখে কিংবা কেএফসিতে, পিৎজা হাটে বান্ধবীর জন্মদিনে অথবা পাড়াতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে...।

ধর্ষক রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়। রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষণের বর্ণনা করে, মেয়েটা কেমন স্বাদের ছিল, কেমন করে বাধা দিয়েছিল এবং সে কেমন ধরনের আসল পুরুষ, কতক্ষণ করতে পেরেছে। সবিস্তারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেই গল্প করে...।

একটা অসহায় মেয়ের শরীর তখন সমাজের সবার ভোগে লেগে যায়। মোবাইল থেকে মোবাইলে ভিডিও ঘুরতে থাকে। পত্রিকার সম্পাদক রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষণের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন। সেখানে ধর্ষিতার বয়স উল্লেখ থাকে, স্কুল-কলেজের পরিচয় উল্লেখ থাকে, থাকে না শুধু ধর্ষকের একটা স্পষ্ট ফটো কিংবা ভালো করে পরিচয়।

একফাঁকে টুপ করে ঢুকিয়ে দেয়া হয় কোনও ওয়েবসাইটে সেই ভিডিওর খোঁজ পাওয়া যাবে সেই খবর। সেই গল্প শুনে, ভিডিও দেখে সারাদেশের আরো অনেক পটেনশিয়াল ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ জেগে ওঠে। না আর থাকা যায় না, এইবার একটা ডাঁসা মাল চাই! তাদের ঠোঁটের দুই কোণ দিয়ে এবং অন্য অনেক জায়গা নিয়ে কুৎসিত লালা ঝরতে থাকে। শুধু একটা সুযোগ দরকার তার।

আর সেই মেয়েটি? তাকে আস্তে করে ঝুলে পড়তে হয় গলার সাথে দড়ি বেঁধে। এ সমাজ তাকে জোর করে সেদিকে ঠেলে দেয়। বেঁচে থাকতে বাবা তাকে বকে। মা তাকে অবজ্ঞা করে। ভাই-বোন করে ঘৃণা। পাড়া প্রতিবেশী দিনের পর দিন তার চরিত্রের কলুষতা এবং পঙ্কিলতা নিয়ে খোটা দেয়। সবাই মিলে ধর্ষিত মেয়েটার জীবনটাকে একটা বিভীষিকা বানিয়ে দেয়। স্কুলের স্যার তাকে অশ্লীল ইঙ্গিত করে, বান্ধবীরা সঙ্গ পরিত্যাগ করে। সবার চোখে, মুখে, আচার-আচরণে, কথায় এবং কাজে একটাই ইঙ্গিত থাকে,  তুই ধর্ষিতা, তুই পতিতা, তুই চরিত্রহীনা, তুই বেশ্যা, যা মর।

ধর্ষক এরকম আরো অনেক অনেক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ধর্ষণ শেষে সানাই বাজিয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসে। মেয়ের বাবা আনন্দের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। শুধু ধর্ষিতা মেয়েটিকে বিয়ে দেবার জন্যে কোনও ছেলে পাওয়া যায় না। আমি যে কলেজের ছাত্র ছিলাম সেই কলেজের একজন বিখ্যাত স্যারের বাংলা ক্লাস করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ক্লাসেই উনি আমাদের বলেছিলেন, তসলিমা নাসরিন বলে, ছেলেরা যদি মেয়েদের ধর্ষণ করতে পারে, তাহলে মেয়েদেরও উচিত ছেলেদের ধর্ষণ করা। মহিলাকে যদি আমি পেতাম তাহলে তাকে জিজ্ঞেস করতাম, আপনার তো ওটা নেই, ওটা না থাকলে আপনি কি দিয়ে ধর্ষণ করবেন?

বাহ! কী চমৎকার! তোমার ওটা আছে, তোমাকে আর পায় কে? ওটা যেখানে-সেখানে যেভাবে পারো জোর করে কিংবা বুঝিয়ে শুনিয়ে পটিয়ে ঢুকিয়ে দাও। পরম উল্লাসে ধর্ষণ করো। তুমি পুরুষ তোমার ওটা আছে, তুমি মহাশক্তিধর, বীরপুরুষ। মেয়েদের তো আর ওটা নেই, তারা তোমার কিচ্ছু করতে পারবে না। তারা তোমার সাথে শক্তিতেও পারবে না। শুধু পারবে নীরবে চোখের জল ফেলতে। তাতে তোমার মতো ওটাঅলা পুরুষের কি আসে যায়? দিনের পর দিন এই বিষ কিশোর মস্তিষ্কে ঢুকেছে, আমার ওটা আছে বলে ধর্ষণ করা একটা কনজেনিটাল রাইট আমি নিয়ে এসেছি। ওই ব্যক্তির ক্লাস করার জন্যে, তা অশ্লীল, আপত্তিকর এবং তীব্রলিঙ্গ বৈষম্যমূলক জোকস শোনার জন্যে সাগ্রহে অপেক্ষা করেছি। তারপর এক সময় নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। সেদিন থেকে আর তাকে শ্রদ্ধা করিনি।

সবাই বুঝতে পারেনি, তাদের কারো কারো মাথায় এখনো সেই বিষ ডালপালা গজিয়ে বড় হচ্ছে, ওটা বড় হয়ে ফুলে ফেপে উঠছে। সারাদেশে এরকম হাজার হাজার শিক্ষক আছেন, যারা শুধু মুখের কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না। সেই কথাকে বাস্তবে প্রমাণেও সচেষ্ট থাকেন। আর তাদের লালসার স্বীকার হয় কিন্ডারগার্টেনের শিশু থেকে শুরু করে কলেজে পড়ুয়া কিশোরী কিংবা ভার্সিটির উচ্চশিক্ষিত নারীরা। আমাদের বাসার পাশের স্কুলেই এরকম এক শিক্ষক ছিলেন যার কাজ ছিল, পড়া না পারলে চুল সরিয়ে মেয়েদের পিঠে থাপ্পড় মারা কিংবা পেটে গুঁতো দেয়া। তার অন্যতম আরেকটা প্রিয় কাজ ছিল, লিখতে দিয়ে মেয়েদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে কামিজের উপর দিয়ে বুকের দিকে তাকিয়ে থাকা। অনেকবার কমপ্লেইন করেও তার বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেয়ানো যায়নি। রাজনৈতিক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাথে তার ভালো খাতির ছিল, তাই।

একটা মেয়ের জন্যে কেউ নিরাপদ না। শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, বয়-ফ্রেন্ড, এলাকার ছেলে, আত্মীয়-পুরুষ, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই এমনকি ক্ষেত্র বিশেষ নিজের বাপ-ভাইও না। কর্মক্ষেত্রে কলিগ, অফিসের বস-সুযোগ পেলেই মিষ্টি হাসি ঝেড়ে ধর্ষকের রূপ ধরতে মুহূর্ত দেরি করেন না। বাসের হেল্পার, ক্যান্টিনবয়, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, বাসার দারোয়ান কিংবা অফিসের পিয়ন, ওটার ব্যবহারে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। ধর্ষিতার পক্ষে কেউ থাকে না। ধর্ষকের পক্ষে সবাই। প্রশাসন, মিডিয়া, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র একযোগে কাজ করে ধর্ষককে বাঁচানোর জন্যে। তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয় না। থানার ওসির সাথে প্রতিদিন তার মোলাকাত হলেও গ্রেফতারের জন্যে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাই এনি চান্স গ্রেফতার হলেও বড়-ছোট এবং মাঝারি পাল্লার রাজনৈতিক মামা, চাচা, খালু-ফুপা আর বড় ভাইদের সুপারিশের ধমকে কয়েক ঘণ্টার বেশি তাকে হাজতে থাকতে হয় না।

হাজত থেকে বেরিয়ে এসে ধর্ষিতার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দেয়া চলতে থাকে যাতে মামলা তুলে নেয়া হয়। এমনকি ধর্ষণের মামলা থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে সেই মেয়েকে তার ছোট বোনসহ পুনরায় ধর্ষণের ঘটনাও এই দেশে ঘটেছে। দিল্লীর ধর্ষণের ঘটনার শিকার মেয়েটা কিছুদিন আগে মারা গেল। পাবলিক বাসে ধর্ষণের ঘটনার চেয়েও বর্বর ঘটনা এই দেশে আছে। যে দেশের পুলিশ স্বয়ং থানা হাজতে ধর্ষণ করে বন্দিনীকে হত্যা করে ফেলে তাদের উদাহরণের জন্যে দিল্লী যাবার দরকার হয় না। ভিকারুন্নেসার পরিমল জয়ধর দিনের পর দিন ধরে বাচ্চা একটা মেয়েকে, তার ছাত্রীকে নিজের কক্ষে ধর্ষণ করেছে। সেই ঘটনা প্রকাশ হবার পরে অধ্যক্ষা ঘটনাকে মিউচুয়াল সেক্স বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বামপন্থী এবং আদর্শবাদী নেতাকে কোন বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। বারবার যোগাযোগ করেও একজন বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে কোন কলাম বের করে আনানো যায়নি।

সাধারণ ব্লগাররা নিজেদের উদ্যোগে আন্দোলন করেছে। স্কুলের বাচ্চা মেয়েরা নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে নিজেরা মাঠে নেমেছে। সেই আন্দোলনকে এইসব মিডিয়া, এই সব স্বার্থবাজ, মতলববাজ নারীবাদী নিউজ সাহারা জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছে। টিভি চ্যানেলের লাফাঙ্গা সাংবাদিক আন্দোলনের সংবাদ কভার করার বদলে প্রকাশ্যে মেয়েদের দেখে নেবার হুমকি দিয়েছে। কেউ সেদিন কারো থেকে পিছিয়ে ছিল না। পত্রিকাগুলোত বেশ জোর দিয়ে ছাপা হয়েছিল ধর্ষণের সময় ধর্ষিতা ছাত্রীটির স্কার্ট এবং টপস পড়ে থাকার কথা। ভাবখানা এমন যে, মেয়েটি স্কার্ট পড়ে থাকার কারণেই তাকে ধর্ষণের স্বীকার হতে হয়েছিল। মডার্ন ফ্যাশনের নামে টি-শার্ট আর হাঁটু পর্যন্ত শর্টস পরা এন্তার মেয়েদের ফটো এ পর্যন্ত ছাপা হয়েছে।

কার কথা বলবো, কেউ পিছিয়ে থাকে না। আমার এক সাবেক ক্লাসমেটের নাকি গোপন ভিডিও বের হয়েছে। বের করেছে তার সাবেক স্বামী। সেই গল্প আমার কাছে করতে আসলো আমাদেরই আরেক ক্লাসমেট। এলাকার সবার মোবাইলে মোবাইলে সেক্স ক্লিপ। মুখরোচক আলোচনা। কিন্তু ধর্ষক এবং লম্পট ছেলেটাকে দুটো চড় বসিয়ে দেবার মতো কেউ এলাকায় নেই। বীর বাঙালিদের শক্তিশালী হাত শুধু ছোট বাচ্চা ক্ষিদের জ্বালায় একটা রুটি চুরি করলে কিংবা পকেটমার ধরা পড়লেই শক্ত হয়। নিউমার্কেটে দিনেদুপুরে ঢাকার এক বিখ্যাত কলেজের পরিচয়ধারী একছেলে একটা মেয়েকে চড় মারে। কারণ হলো মেয়েটা ছেলেটাকে স্টুপিড বলেছে। কেন স্টুপিড বলেছে তার কারণ হলো, ছেলেটা ভিড়ের সুযোগে মেয়েটাকে ধাক্কা মেরেছে এবং শরীরে হাত দিয়েছে। কিন্তু উপস্থিত জনতা ছেলেটাকেই সাপোর্ট করে এবং একটা বখাটের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়ে, থাপ্পড় খেয়েও মেয়েটা স্যরি বলতে বাধ্য হয়। আমার যে ফ্রেন্ডটা ওখানে ছিল তার ভাষায় ছেলেটা অমুক কলেজের রাজনৈতিক দলের, কে তার সাথে লাগতে যাবে?

হাজার খানেক মানুষ এক বখাটের ভয়ে থরথরি কম্পমান। বাহ্, এই না হলো বীর বাঙালি। অস্ত্র ধরেই যারা দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে। তারপর সেই অস্ত্র অতল দরিয়ায় নিক্ষেপ করেছে। শত অন্যায়েও এখন তার গলায় স্বর বের হয় না। ঘেটুপুত্র কমলা ম্যুভিটিতে হুমায়ুন আহমেদ একটা চমৎকার উপমায় আমাদের মানসিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন। জমিদারের টাকা আছে সে ঘেটুপুত্র রাখে। কিন্তু তার ঘোড়ার দেখাশোনার জন্যে যে লোক তার টাকা নেই বলে সে ঘেঁটু রাখতে পারে না। কিন্তু ঘেটুছেলের দিকে সেও লোভি নজর দেয়। মনে মনে স্বগতোক্তি করে, টাকা হলে সেও ঘেঁটু রাখবে। আমরা একটা ধর্ষক জাতি। একটা অসভ্য এবং বর্বর জাতি। এই দেশে ভার্সিটিতে ছাত্রনেতারা প্রকাশ্যে ক্লাসমেট, জুনিয়র কিংবা সিনিয়র মেয়েদের ধর্ষণ করে। কেক কেটে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করে। এক অপ্রকাশিত নেতার কাহিনি শুনেছিলাম। মেয়েরা তার কাছে ধর্ষিত হতে আসতো। কারণ সে যাকে টার্গেট করতো তাকে ধর্ষিত হতেই হতো অথবা ভার্সিটির পড়াই বাদ দিয়ে দিতে হতো। তারচেয়ে চুপে চুপে একবার তার কাছে এসে ধর্ষিত হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল।

অন্তত লোক জানাজানি হতো না তাতে। মেয়েরা কার কাছে বিচার চাইবে? শিক্ষকের কাছে? তারাই তো রুমে ডেকে নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণে লিপ্ত। মন্ত্রীদের কাছে? এ দেশের কলেজের মেয়েদের তো তাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবেই পাঠানো হয়। শরীরের বিনিময়ে মেলে পার্টিতে পদ কিংবা ছাত্রী হলে সিট। পুরুষতান্ত্রিকে এই সমাজে অধিকাংশ পুরুষের ভেতরে একটা করে ধর্ষক লুকিয়ে আছে। সময় এবং সুযোগে কারো কারো ওটা বেরিয়ে আসে। আমাদের মতো অনেকের সে সুযোগ মেলে না। তারা ধর্ষণ করে পরোক্ষ। সে যে কাউকে ধর্ষণ করেনি, সে জন্যে শুধু পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগের অভাবই দায়ী। তারা কোনও ভালো মানুষী না। উন্নত দেশেও ধর্ষণ হয়, অপরাধ হয়, তবে সে দেশে অপরাধের অন্তত বিচার হয়। আমাদের দেশেও অপরাধ হয়, অপরাধী রাজার হালে বুক ফুলিয়ে ঘোরে। কোনও বিচার হয় না। উলটো ক্ষেত্র বিশেষে পুরস্কার জোটে। এটাই তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।

এ লেখাটা লিখতে আমার দুদিন সময় লেগেছে। প্রচুর ভাবতে হয়েছে। তথ্য বের করতে হয়েছে। কষ্ট করে টাইপ করতে হয়েছে। সময়টার বৃথা ব্যবহার, পৌরুষের নিদারুণ অপচয় হয়েছে। এরচেয়ে একটা ধর্ষণ করে ফেলা এই দেশে অনেক সহজ। ইচ্ছে হলো, টার্গেট করলাম, করে ফেললাম- সাথে বোনাস হিসেবে হয়তো খ্যাতিটাও জুটতো। একটা অ্যাড ছিল, টাকা রিচার্জ যখন এত সহজ, কথা বলবে না কেন? একটু মডিফাই করে আমি বলতে পারি, ধর্ষণ যখন এত সহজ, করবে না কেন? তাই আসুন, আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে ধর্ষণ করি। আমরা মস্তিষ্ক-যুক্ত মানুষ না হয়ে লিঙ্গযুক্ত পুরুষ হই, আসল পুরুষ হই!

বহুত পুরাতন জিনিস, তাও বলি, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।

উৎসর্গ: সেই আপুটাকে, যিনি হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় নিজের সতীত্ব রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে এবং মিডিয়া যার ঘটনা নিয়ে আজও কোনও আগ্রহই দেখায়নি