আলিঙ্গনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪

ভালোবাসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হলো জড়িয়ে ধরা। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মেলে আলিঙ্গনে।

এক সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধু আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার! তবে জার্মান গবেষকদের মতে আলিঙ্গন করলে কেবল নারীদের মানসিক চাপ কমে, এ ক্ষেত্রে পুরুষদের তেমন লাভ হয় না।

৭৬টি দম্পতিকে নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণার ফলাফল ‘প্লাস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায় প্রবল মানসিক চাপ তৈরি হওয়ার পর যদি দম্পতিরা নিজেদের সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন, তা হলে নারীরা বেশি উপকৃত হন। তাঁদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ততটা কাজের নয়, এমনটাই মনে করছেন জার্মান গবেষকরা।

গবেষণায় বলা হয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে আলিঙ্গন অবস্থায় নারীদের শরীরে অধিক মাত্রায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। সমীক্ষা বলছে, ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

গবেষকদের মতে, কেবল আলিঙ্গন করলে পুরুষদের শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে না। সে কারণেই তাঁরা মানসিক চাপমুক্ত হন না।

পূর্বের কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল যে, আলিঙ্গন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তচাপ কমে এবং শারীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে জার্মান গবেষকরা এই তথ্য মানতে নারাজ।