আবু তাহের সরফরাজের তিনটে কিশোর কবিতা
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
বল তো খোকা বল তো খুকি
এই যে গাছের পড়ছে ছায়া
একটু পরে যাচ্ছে সরে
বল তো খোকা বল তো খুকি,
পারবি কি তা রাখতে ধরে?
ঝিরঝিরিয়ে দিচ্ছে হাওয়া
কাঁপছে গাছে সবুজ পাতা
ওই কাঁপুনি আঁকতে গিয়ে
বল তো ক’টা লাগবে খাতা?
ঝাঁক বেঁধে যে উড়ছে পাখি
শেষ বিকেলে নীল আকাশে
বলতে পারিস, কোন সে সুরে
দ্যায় ছড়িয়ে গান বাতাসে?
গাছের ডালে বসছে পাখি
যাচ্ছে উড়ে একটু পরে
বল তো কেন বসছে ওরা
ডাকছে কেন সমস্বরে?
ঘাসের বনে সবুজ রঙে
রোদ পড়েছে দুপুরবেলা
বল তো দেখি, পারিস কীনা
হচ্ছে ঘাসে কিসের খেলা?
একটু আগে দেখলে চড়া
রোদ পড়েছে ফুলবাগানে
এই যে এখন রোদটা নরম
বল তো খুকি, এর কি মানে?
কী আর বলো করি
রোদ চিকচিক দুপুরবেলা
আঁকতে করে ইচ্ছে
কিন্তু আমায় রোদের কালার
কে আর এনে দিচ্ছে!
আঁকতে পারি ছোট্ট নদী
কিংবা সবুজ টিয়ে
ঝিরঝিরিয়ে দিচ্ছে হাওয়া
আঁকব কী আর দিয়ে।
মাঠ পেরোলে আলতাপাড়া
গ্রামবাসীদের ছবি
আঁকতে গিয়ে ভাবনা এলো,
গল্প তো এর সবই।
কী আর বলো করি,
গল্পে দেখি একেকটা রঙ
দিচ্ছে গড়াগড়ি।
বৈশাখি ঝড়
বৈশাখি ঝড় আসলে আসুক
ঠাকুর দাদার বাড়ি
আমার তো নেই চকমেলানো
দালানকোঠার সারি।
জীর্ণ ঘরের ছাউনি খড়ের
গোলপাতারই বেড়া
একটু হাওয়া পেলেই কাঁপে
এই গরিবের ডেরা।
বোশেখ ডেকে রবীন্দ্রনাথ
মুমূর্ষুকে ওড়ান
মুমূর্ষু তো মরেই আছে
এবার তাকে পোড়ান।
জরায় মরে যাইনি শোনো,
বুক আছে টানটান
নতুন দিনে সূর্যোদয়ে
গাইছি নতুন গান।
ভাঙব আগল বোশেখের
দেখব আগুন দোজখের।