আদিত্য নজরুল
আদিত্য নজরুলের ৪টি কবিতা
প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
শীতঋতু
বাহিনীর তাড়া খেয়ে
লোকালয়ে ঢুকে পড়লো বাতাস...
ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা
চারপাশ জুড়ে—
কেউ কেউ বলছেন
এবারের মতো এমন গেরিলা শীত
কয়েক বছর পড়েনি...
দীর্ঘদেহী
সুপারি গাছের
মাথাও সূর্যের দেখা পায় না
শীত শীত
ভোর—
গড়নসৌষ্ঠব জুড়ে
কুয়াশার রেণু
লাল গাইয়ের দুধের নহর...
এই শীত
কবেকার প্রথম স্পর্শ জমা রেখে
এমন কাতর...
নবান্ন
কড়াইয়ে
বলকাচ্ছে তেল...
মায়ের হাতের পাঁচ আঙুলের ডগা থেকে
ঝাপিয়ে পড়ছে
ঝিকমিক পিঠা...
ডুবছে ভাসছে
ফের উল্টো করে দিচ্ছেন মা
সেই পিঠা...
পিঠা ভাজার আনন্দে
উঠানেই
সংসার সংসার খেলছে বাচ্চারা
একদিন
এই শিশুদের জায়গায়
অন্য শিশু আসবে
মায়েরা
আমাদের বুকে হাহাকার রেখে
চলে যাবে ঐ আকাশে
বৈপরীত্য
সব দুঃখ জল হয়ে গড়াতে পারে না
কিছু দুঃখ হয় না পাথর...
পাথর এবং
জলের মিশ্রণ বুকে নিয়ে কিছু কিছু মানুষের
বেঁচে থাকতেই হয়
যেভাবে দীর্ঘশ্বাস
বেঁচে থাকে বুকে
আমি সেইভাবে বেঁচে আছি
আমি বেঁচে আছি
টলমল করে
যেভাবে অশ্রু কণা বেঁচে থাকে চোখে
আমি বেঁচে আছি
সুখে থাকার ভান করে
আমি বেঁচে আছি, আমি বেঁচে আছি
চিৎকার গিলে ফেলে
আমি আজও বেঁচে আছি...
যেতে হবে
যাব যাব করে যাওয়া হচ্ছে না...
এই তৈরি হচ্ছি
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে
নিজেকে বুঝাই
যেতে তো হবেই,গন্তব্য আকুল কণ্ঠে ডাক দিলে!
যেতে তো হবেই
কেননা জীবনের আরেক নাম
গতি—
যাব যাব বলে
তৈরি হচ্ছি...
কী করে বলো যাই
তুমি ডাকার মতোন ডাক না দিলে...