প্রতীকী ছবি
আচার্য শান্তিদেব
আবু তাহের সরফরাজপ্রকাশিত : জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এক যে ছিল রাজপুত্র। চটপটে, তবে ছটফটে নয়। চুপচাপ, দ্যাখে আর শোনে। কথা যা বলার, বলে খুব কম। বিকেলে একা একা ফুলের বাগানে হাঁটে। ফুল, গাছপালা আর ফুরিয়ে যাওয়া বিকেলের রঙ দ্যাখে। বুকের ভেতর ঝিরঝির আনন্দে সে হাসে।
বিষ্টি হলে রাজবাড়ির ছাদে চুপিচুপি উঠে ভিজতে থাকে। বিষটির রিমঝিম তার ভালো লাগে। রাজপুত্র সাধারণ। রাজপুত্র রাজকীয় নয়। সাধারণ মানুষ যা পরে, একই পোশাক সে পরতে চায়। এটা হলো না, ওটা হলো না, এসব নিয়ে নেই কোনো বায়নাক্কা।
এই রাজপুত্রকে রাজ্যের উত্তরাধিকারী নির্বাচন করতে ইচ্ছে প্রকাশ করলেন রাজা। রাজ্য শাসনের ধী-মেধা যে আছে তার পুত্রের, তিনি তা জানেন। রানি কিন্তু জানেন আরেক দিক। রাজ্য শাসকের সাথে দীর্ঘকাল জীবন-যাপন করেছেন তিনি। দেখেছেন। বুঝেছেন। রাজার তৃপ্তি, অতৃপ্তি আর জীবনবোধ তিনি জানেন। তাই তিনি চান রাজপুত্র যেন জীবনের পূর্ণতার দিকে যেতে পারে।
গোপনে একদিন তাই তিনি পুত্রকে ডেকে নিলেন। বললেন, রাজ্যভোগে লিপ্ত হয়ে ধীরে ধীরে তোমার আত্মা অতৃপ্ত হয়ে উঠবে। পৃথিবীতে যদি তুমি তৃপ্তি পেতে চাও, তবে পালাও। যে দেশে বুদ্ধ ও তার অনুসারীরা আছেন, সেখানে চলে যাও। মঞ্জুবজ্রের কাছ থেকে যদি উপদেশ নিতে পারো, তবে শান্তির পথ তুমি খুঁজে পাবে।
গোপনে প্রাসাদ ছাড়লেন রাজপুত্র। ঘোড়ার পিঠে তিনি চলেছেন। দিন-রাত পেছনে ফেলে চলতে লাগলেন। ঘুম নেই, খাবার নেই, শরীর ভেঙে পড়তে চাইছে, মন তবু স্থির। বারবার একটি সিদ্ধান্তের কথা তাকে সাবধান করে দিচ্ছে। ভোগের জীবন চাও, নাকি তৃপ্তির জীবন চাও। রাজপুত্রের মন উচ্চারণ করে, জীবনের তৃপ্তি আমি চাই। আমার জননী আমাকে এই পথ চিনিয়েছেন। পিতার চেনানো পথ ছিল ভোগের। ভোগের পথ তো আমি ছেড়েই এসেছি।
চলতে চলতে গভীর এক বনে ঢুকে পড়লেন রাজপুত্র। কিছু দূর গিয়েই তিনি অবাক হয়ে গেলেন। রূপসী এক বালিকা এসে তার ঘোড়ার লাগাম ধরল। বিস্ময়ে থ রাজপুত্র। মেয়েটি চোখ ধাঁধানো সুন্দর। এই বনের মধ্যে এই মেয়েটি কে? কী নিবিড় ছায়াঘেরা বালিকার চোখের দৃষ্টি। ভুরু দুটো যেন কাজলরেখা নদী।
বালিকা বলল, নামুন।
রাজপুত্র তো অবাক অবাক। জিগেশ করলেন, তুমি কে?
সারা মুখে চাঁদের হাসি ছড়িয়ে বালিকা বলল, নেমে আসুন। চলুন আমার সাথে।
কোথায়?
গেলে নিজেই দেখবেন।
দেখবেন শব্দটাতে এক রহস্য ছিল। রাজপুত্রের মনে হলো, বালিকার সাথে গেলে যা সে খুঁজতে বেরিয়েছে, তা সে দেখবে।
রাজপুত্র নামলেন ঘোড়ার পিঠ থেকে। এরপর মেয়েটির সাথে চললেন। কাছাকাছিই একটি আশ্রম। অল্প কিছু ভিক্ষু। অশত্থগাছ ঘিরে গোল বেদিতে বসে তারা উপদেশ শুনছেন। মাঝখানে একজন মানুষ। তার মুখের দিকে তাকাতেই রাজপুত্র বুঝতে পারলেন, এইখানেই আছে।
বালিকা তাকে একটি কক্ষে নিয়ে এলো। এটি খাবার ঘর। বালিকা রাজপুত্রকে খেতে দিল। এ পর্যন্ত তাদের মধ্যে আর কোনও কথা হয়নি। যেতে যেতে রাজপুত্র জিগেশ করলেন, ভিক্ষুরা যার উপদেশ শুনছেন, তিনি কে?
বালিকা জবাব দিল, মঞ্জুবজ্র।
শিহরন খেয়ে গেল রাজপুত্রের দেহে। মেয়েটি তো ঠিকই তাকে বলেছিল, গেলেই দেখবেন।
রাজপুত্র জিগেশ করলেন, তুমি কে?
মঞ্জুবজ্রের শিষ্য।
আমাকে এখানে নিয়ে আসতেই কি তুমি ওপথে দাঁড়িয়ে ছিলে?
মেয়েটি ওপর-নিচে মাথা নাড়ল।
কে বলেছিল যে, আমি আসব?
মঞ্জুবজ্র।
রাজপুত্র আর কিছু বললেন না। চুপচাপ খেয়ে উঠলেন। বালিকার সাথে এসে বসলেন সেই বেদিতে। আলোচনা তখনও চলছিল। রাজপুত্র মন দিয়ে শুনতে লাগলেন মঞ্জুবজ্রের কথা। মঞ্জুবজ্র একসময় থামলেন। রাজপুত্র বললেন, মহাত্মন, আমি আপনার শিষ্য হতে এসেছি। মঞ্জুবজ্র হাসলেন। হাসলেন রাজপুত্র। আনন্দের রূপ তবে এই, এই তো, তার চোখের সামনে যা।
বারো বছর মঞ্জুবজ্রের শিষ্য হয়ে রাজপুত্র থাকলেন আশ্রমে। শিখলেন। বুঝলেন। চিনলেন জগৎটাকে। বারো বছর পূর্ণ হলে মঞ্জুবজ্র আদরের এই শিষ্যকে বললেন, এবার তুমি মধ্যদেশে যাও। ওইখানে মানুষকে শান্তির পথ দেখাও।
গুরুর কথা মাথায় নিয়ে শিষ্য নামলেন পথে। ভিক্ষুর বেশে রাজপুত্র চলেছেন মধ্যদেশ। ঘর যখন ছেড়েছিলেন, তার বাহন ছিল ঘোড়া। আর এখন দুই পায়ে সুদূরের পথে তার যাত্রা। ভবঘুরের বেশ। কাঁধে ঝোলানো কাপড়ের ব্যাগ। পেরিয়ে চলেছেন গ্রাম, শহর, দেশ আর কত যে নদী-পাহাড়। পথে পথে থামছেন। আর তার জীবনে যোগ হচ্ছে কত কত মানুষের মুখ। কত রকম যে ঘটনা তৈরি হচ্ছে তার যাত্রাপথে। খাবার কিছু জুটলে মুখে তুলছেন, না জুটলে নির্বিকার।
এই সবই তার অভিজ্ঞতা। নানা রকম অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে যেতে তিনি পৌঁছলেন মধ্যদেশে। রাজধানীতে ঢোকার মুখেই থমকালেন। লোকজনের জটলা। এটকু এগিয়ে জানতে পারলেন, রাজা মগধের সৈন্যবাহিনীতে লোক নিয়োগ নেয়া হচ্ছে। আর কী, দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি লাইনে। নিয়োগ পেলেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই লাভ করলেন সেনাপতির পদ। রাজপুত্রের নাম হলো অচল সেন।
দিন যেতে লাগল। ব্যক্তিত্বে-পৌরুষে অচল সেন ধীরে ধীরে রাজা মগধের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠলেন। রাজার সাথে তার সখ্য গড়ে উঠল। রাজ্যের নানা বিষয়ে রাজা তার সাথে পরামর্শ করেন। এই যখন অবস্থা, রাজার আর আর সেনাপতি তখন অচল সেনকে হিংসে করতে শুরু করল। তারা সুযোগ খুঁজতে লাগল।
সুযোগ এসেও গেল একদিন। তারা আবিষ্কার করল, অচল সেনের তলোয়ার কাঠের তৈরি। কথাটা রাজার কানে গেল। তাই তো, কাঠের তলোয়ার দিয়ে কী আর যুদ্ধ করা যায়? আর এই লোকটাকেই তিনি কীনা প্রাধান্য দিচ্ছিলেন এতদিন। এক সভায় মগধ ঘোষণা করলেন, সেনাপতিরা প্রত্যেকে তাদের তলোয়ার আমাকে দেখান। কথামতো, সেনাপতিরা একে একে তাদের তলোয়ার রাজাকে দেখাতে লাগলেন। অচল সেনের পালা এলে সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।
রাজা বললেন, কী হলো হে অচল সেন, আপনার তলোয়ার দেখান।
অচল জবাব দিলেন, আমার তলোয়ারের তেজে আপনি অন্ধ হয়ে যাবেন।
রাজা গম্ভীর হলেন। লোকটা বলছে কী এসব! থামলেন না রাজা। জিদ ধরে বললেন, যা হয় হোক, আপনি দেখান আপনার তলোয়ার।
অচল সেন বললেন, বেশ, দেখতেই যদি চান তবে একচোখ বেঁধে রেখে আরেক চোখ দিয়ে দেখুন। একটা চোখ তো রক্ষে পাবে।
রাজা শুনলেন অচল সেনের কথা। এক চোখ বেঁধে দেয়া হলো তার। অচল সেন খাপ থেকে যখন তার তলোয়ার টেনে বের করলেন, সে এক বিস্ময় রাজার সামনে। এত আলো, এত যে আলো, মুহূর্তে রাজার মনে হলো, বিপুল এক অন্ধকার থেকে বিপুল আলোর এক জগতে তিনি যেন ঢুকে পড়েছেন। এবং এরপরই সব অন্ধকার।
বেশ কিছু সময় রাজা কাঠ হয়ে রইলেন। বিস্ময়ে তিনি থ। সিংহাসন ছেড়ে উঠে এসে দাঁড়ালেন তিনি অচল সেনের মুখোমুখি। করজোড়ে বললেন, গুরুদেব, আমায় ক্ষমা করুন। আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি পরম জ্ঞানের অধিকারী। আপনি বোধিসত্ত্ব। এই রাজ্য আপনার। আমি আপনার দাস। অচল সেন রাজার নুইয়ে পড়া মাথায় হাত রেখে বললেন, তা আর হয় না মহারাজ। রাজা হবার জন্যে আমার জন্ম হয়নি। আমি চলি।
বেরিয়ে এলেন রাজপুত্র। শেষবিকেলের মরারোদ পথঘাটে। হাঁটতে হাঁটতে তিনি এসে বসলেন এক পুকুরঘাটে। ঘাটের দুদিকে বিশাল দুটো শালগাছ। প্রচুর গাছপালা চারদিকে। একটু দূরেই একটা মঠ। পাখির ডাকে মুখরিত মঠের গাছপালা। পুকুরের পানিতে গোধূলির রঙ গুলে যাচ্ছে। তিরতির ঢেউয়ে তা কাঁপছে। মঠের দিক থেকে ভেসে এলো ঘণ্টার ধ্বনি। রাজপুত্র উঠলেন।
এক বেদিতে বেশ কিছু ভিক্ষু বসে একজন জ্ঞানীর কথা শুনছেন। একপাশে দাঁড়িয়ে তিনিও শুনতে লাগলেন। নানা কথা। একসময় কথা শেষ হলো। রাজপুত্র গুরুর সামনে এসে নত হলেন। নিজের পরিচয় দিলেন। বললেন, আপনার অনুমতি পেলে আমি এখানে থেকে যেতে চাই। আপনার কাছ থেকে জীবন ও জগতের পাঠ নিতে চাই।
গুরু অনুমতি দিলেন। রাজপুত্র নালন্দা মহাবিদ্যালয়ের একপ্রান্তে কুটির বেঁধে থাকতে আরম্ভ করলেন। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পণ্ডিতদের কাছে ত্রিপিটকের ব্যাখ্যা শুনতেন। চুপচাপ থাকতেন সবসময়। কুটিওে বসে যোগ অভ্যাস করতেন। আর কী যেন লিখতেন। কারও সাথে খুব একটা মেলামেশা ছিল না তার। কথাবার্তাও তেমন হতো না। তার এরকম স্বভাবের জন্য নালন্দা মহাবিদ্যালয়ের সবাই তাকে শান্তিদেব ডাকতে শুরু করলেন। কিছু ছাত্র আবার তার এ স্বভাবের কারণে তাকে নিয়ে দুষ্টুমি করত। তারা মনে করত, ব্যাটা ক্যাবলাকান্ত। ভালোমতো ঠিকঠাক কথাও বলতে পারে না। আচ্ছা মাথামোটা।
এলো জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্লাষ্টমি। এদিন রাতে নালন্দা মহাবিহারের রীতি অনুযায়ী শাস্ত্রপাঠ ও তা ব্যাখ্যা করা হয়। নালন্দার বড় বিহারের উত্তর-পূর্বকোণে প্রকাণ্ড এক ধর্মশালায় এ আয়োজন করা হয়। নানাপ্রান্ত থেকে পণ্ডিতরা প্রতি বছরের মতো এবারও এলেন। এলো আরও লোকজন। জড়ো হলেন সবাই ধর্মশালায়।
সভার কাজ শুরু হবে। দুষ্টু ছাত্ররা শান্তিদেবকে এসে ধরল, আজ আপনাকে ধর্মসভায় পাঠ ও ব্যাখ্যা করতে হবে। শান্তিদেব বিনীত আপত্তি জানালেন। শুনবে কেন, তারা তো চায় শান্তিদেব অপদস্ত হোক। লজ্জায় তার মাথা হেট হয়ে যাক। এসব ছাত্রেরা তো জানে, শান্তিদেব মাথামোটা। ধর্মসভায় সে কিছুই বলতে পারবে না। ছাত্রেরা প্রায় ধরাধরি করে শান্তিদেবকে বেদিতে বসিয়ে দিল। আর মজা দেখতে তারা গিয়ে বসল একটু দূরে। মিটমিট হাসতে লাগল।
আসনে বসে শান্তিদেব কিছু সময় ধ্যানস্থ হয়ে রইলেন। এরপর চোখ খুলে জিগেশ করলেন, আর্ষ পাঠ করব, নাকি অর্থার্ষ? হকচকিয়ে গেলেন উপস্থিত পণ্ডিতরা। এতকাল তারা আর্ষ, মানে বুদ্ধের বাণী শুনে এসেছেন। এই প্রথম শুনলেন অর্থার্ষের কথা। তারা শান্তিদেবকে জিগেশ করলেন, আর্ষ আর অর্থার্ষের মধ্যে তফাৎ কি?
শান্তিদেব তাদের বোঝালেন, যে কথার মানে আছে, যে কথা রাগ, হিংসা ও মোহ নাশ করে সে কথাই আর্ষ বা বুদ্ধের বচন। আর্ষগ্রন্থ থেকে পণ্ডিতেরা যে জ্ঞান পেয়েছেন তা অর্থার্ষ।
পণ্ডিতেরা বললেন, আমরা আর্ষ অনেক শুনেছি। তোমার কাছ থেকে কিছু অর্থার্ষ শুনতে চাই। ধ্যান সমাহিত হলেন শান্তিদেব। অবিচল এক মুহূর্ত। শরীরের স্পন্দন যেন থেমে গেছে। ধ্যানের মধ্যে দিয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তিনি। ধীরে ধীরে শোনা গেল তার উদাত্ত স্বর।
ভাব কিম্বা অভাব বুদ্ধির আগে না থাকলে
বুদ্ধি নিরাশ্রয় হয়ে স্থির হয়ে যায়।
একটার পর একটা শোলোক আবৃত্তি করতে লাগলেন শান্তিদেব। পণ্ডিতেরা স্তব্ধ হয়ে শুনতে লাগলেন তার আবৃত্তি। আর সেইসব ছাত্ররা শান্তিদেবের প্রতি ভক্তিতে আপ্লুত হয়ে উঠল। পাঠ শুনতে শুনতে তারা তন্ময় হয়ে গেল।
হঠাৎ স্বর্গের দরজা খুলে গেল। উজ্জ্বল রঙে রাঙানো বিমানে চড়ে সেখানে নেমে এলেন বোধিসত্ত্ব মঞ্জুশ্রী। তার দেহ থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসা অপার্থিব আলো চারদিকে আলোকিত করে তুলল। এই আলো স্বর্গের, বুঝলেন ধর্মসভায় আগতরা। বিস্ময়ে শ্বাস নিতে ভুলে গেলেন তারা। এ কী দেখছেন চোখের সামনে।
আবৃত্তি শেষ করে শান্তিদেব চুপচাপ বসে রইলেন। বোধিসত্ত্ব মঞ্জুশ্রী নেমে এলেন বিমান থেকে। এরপর গাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে ফেললেন শান্তিদেবকে। আবার তাকে নিয়ে উঠলেন বিমানে।
বিমান উঠতে শুরু করল ওপরে। বিস্ময়ে হাঁ-মুখে আকাশে চেয়ে থাকতে থাকতে ঘাড় ব্যথা হয়ে যায় ধর্মসভায় আগতদের। এরপর তারা শান্তিদেবের কুটিরে এলেন। টুকিটাকি কিছু জিনিসের সাথে তারা তিনটে পাণ্ডুলিপি পেলেন। পাণ্ডুলিপি তিনটির নাম, শিক্ষা, সূত্র ও পরম জ্ঞান অর্জনে বিশেষ সাধনরীতি পালনকারী মহাপুরুষ। পণ্ডিতরা পাণ্ডুলিপি উলটে-পালটে দেখতে লাগলেন। একজন দেখলেন, আচার্য শান্তিদেব শেষের বইটি থেকে ধর্মসভায় পাঠ করছিলেন।