‘আগামীর বাংলাদেশ হবে জামায়াতের’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
আগামীর বাংলাদেশ জামায়াতের হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। শনিবার রাতে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রূপনগর থানা জামায়াত আয়োজিত সহযোগী সদস্য সম্মেলন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, “রাজনীতির দীর্ঘ পথ-পরিক্রমা ও উত্থান-পতনে প্রমাণ হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী জনগণের দল। গণমানুষের দল ও মানুষের প্রাণপ্রিয় কাফেলা। তাই আগামীর বাংলাদেশ হবে জামায়াতের।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গর্বের সঙ্গে সচেতনভাবে দাবি করতে পারি, আমরা জ্ঞাতসারে কোনো মানুষের ক্ষতি করিনি বা করব না। ৫৩ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, জামায়াতের লোকেরা কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চুরি, ডাকাতি, মদ, জুয়া, পাশবিকতা, পশু সংস্কৃতি ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বা এখনো নেই।”
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, “কিন্তু পতিত স্বৈরাচার আমাদেরকেই বিশেষভাবে টার্গেট করে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে। আওয়ামী অপশাসনে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, গুপ্তহত্যাসহ আমাদের শীর্ষ নেতাদেরকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছে। পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়ার কারণে আমরা রাজপথে দাঁড়াতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদেরকে ঈদ ও জু’মার নামাজ, এমনকি রোজা পর্যন্ত রাখতে দেওয়া হয়নি। ভেবেছিল, তারাই কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিপ্লবে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তারা আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু আল্লাহই তাদেরকে পরাভূত করেছেন। প্রমাণিত হয়েছে, জামায়াত একটি ন্যায়নিষ্ঠ, আদর্শবাদী ও মানবতার বন্ধু রাজনৈতিক দল।”
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, “আমরা ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি ও সুদের মহাজনি কারবার এবং অপশাসন-দুঃশাসনের বিপরীতে দেশে একটি আদর্শভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবসময় আপসহীন। আমরা মানবরচিত মতবাদের বিপরীতে দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামির কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। যে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সকলের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। সকল নাগরিক আইনের আশ্রয় গ্রহণের সমাজ অধিকার ভোগ করবে। সেই কাঙ্ক্ষিত বিপ্লব ও সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
থানা আমির আবু হানিফের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
উপস্থিত ছিলেন: ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন ও প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, পল্লবী উত্তর থানা আমির মাওলানা সাইফুল কাদের ও পল্লবী দক্ষিণ থানা আমির অধ্যাপক আশরাফুল আলম প্রমুখ।