শৈশবের স্বপ্ন-কল্পনার আনন্দপুরী ‘কিশলয়’

প্রথম পাঠে মনে হয়েছে, বিশাল খাঁচায় বন্দি ছোট ছোট হাজার হাজার পাখির ঠোঁটে একেকটি শব্দ জুড়ে দিয়ে যেন খাঁচা খুলে দিয়েছেন ঈশ্বরের নির্দেশে কোনো এক এঞ্জেল।

ইমতিয়ার শামীমের ‘আমরা হেঁটেছি যারা’ উপন্যাসটি পড়লে মনে হবে, আপনি জাহান্নামের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। এবং এই জাহান্নানের নাম, বলার অপেক্ষা রাখে না, নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারছেন বাংলাদেশ।

ডন যুয়ানকে মৃত্যু একটা কথা বলেছে, বলেছে যে— মৃত্যু যখন অতিথি হয়ে আসে তখন ঈশ্বর তার যবনিকার অন্ধকারে সব কিছু আড়াল করে দেয়.... আমাদের তো পুশকিন নেই, আছে আবু তাহের সরফরাজ।

সামান্য টাকা দিয়ে আমরা এত এত মূল্যবান বই কিনতে পারি, যে বইটা লিখতে হয়তো সারাজীবন লেগে গেছে লেখকের; অথবা এমন বলা যায়, লেখকের জীবনভর সাধনার ফসল এই বইটি।

শ্মশানের সুগন্ধি কাঠের নিয়তিইতো মানুষের শব পোড়ানোতে সহযোগী হওয়া। একলা একলা অপেক্ষা করা কাঠগুলো কোন লাশের অপেক্ষায় থাকে যেন নিয়ত। কিন্তু আজ আর লাশ আসবে না। কেউ মরেনি আজ।

এই উপন্যাস যে ভূমির উপর দাঁড়িয়ে কথা বলছে তা আমাদের অদেখা এক নরক। তা আমাদের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের প্রায় চারশো বছরের নির্মম অভিজ্ঞতার স্মারক।

স্বকৃত নোমান বর্তমান সময়ের খুব আলোচিত এবং প্রধান সারির একজন কথাসাহিত্যিক। তার `বালিহাঁসের ডাক` নামক গল্পগ্রন্থটি ২০১৬ সালে অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে বের হয়। এটি তার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। এতে মোট চৌদ্দটি গল্প রয়েছে।

বই পড়েই আমরা আমাদের অতীতকে স্মরণ করতে পারি, ধারণ করতে পারি, বরণ করতে পারি। অতীতের স্মৃতি, কথা আর ঘটনার পরম্পরাগুলো দেখতে পারি মনের আলোয়।