শৈশবের স্বপ্ন-কল্পনার আনন্দপুরী ‘কিশলয়’

গল্পগুলো পড়ে নিজেকে কিছুক্ষণ উলঙ্গ, বিভ্রান্ত, অদ্ভুত মনে হবে। আশপাশের মাথাবিহীন মানুষগুলোকে অসহ্য মনে হলেও কিছু করার থাকবে না

গেল ভাষার মাসে পড়লাম বাংলাভাষার স্পষ্টভাষী ও তেজস্বী কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমানের এবারের উপন্যাস `উজানবাঁশি`। কাহিনি সুবিন্যাসের মুনশিয়ানার কারণে একটানাই পড়ে শেষ করতে হয়েছে ৪১৬ পৃষ্টার বইটি

কবিতায় সৃষ্ট চরণের মতো সমাজের মানুষেরাও এই পথেই হয়তো নিজেদের সময়কে সমর্পন করে অথবা করতে চায় আনমনে

বইয়ের শুরুটা নাটকীয় একটা ঘটনা দিয়ে। তারপরেই চরিত্রগুলোর খেল শুরু। শুরু করলেন তো আর থামার জো নেই। প্রত্যেকটা অধ্যায়ের শেষে ‘তারপর কী হলো’ প্রশ্নটা মনে জাগবেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ববাংলার মানুষের জন্য একটি আধুনিক এবং স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক জাতিসত্তার বিকাশের বীজ উপ্ত হয়েছিল। ‘বাঙালি মুসলমান’ সচেতন সত্তাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই নির্মাণ।

মারুফ ইসলামের ‘জীবন এখানে এমন’ এমনই একটি গল্পগ্রন্থ যে গ্রন্থটি পর্যায়ক্রমে নানামুখি জীবনের গল্প শোনায় পাঠককে। পাঠককে দেখায় জীবনের বাস্তব রূপ কতটা করুণ, কঠিন ও নিষ্ঠুর হতে পারে!

‘আগিলা’ যুগের গলায় আমরা বর্তমানের স্বর শুনতে পাই। চিরদিনের নদী তাড়া করে আজকের যুগের চলচ্চিত্রের নায়িকাকে। পূর্বপুরুষের পুরনো কবর তাকে জীবনের পর্দায় আরো একবার উজ্জ্বল করে তোলে।

হৃদয়জাত কবিতাই অধিকতর সংবেদনা নিয়ে পাঠককে তাড়িত করে। যতটা মস্তিষ্ক প্রয়োজন তা আঙ্গিকের প্রয়োজনে নির্মিতির কাঠামোয় সীমিত রাখা প্রয়োজন