শৈশবের স্বপ্ন-কল্পনার আনন্দপুরী ‘কিশলয়’

বিভিন্ন সময়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্ত হয়েছে। অনেকবার তাকে গভীর রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কারাভোগের সময় তিনি শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া পিতা-মাতা, সহোদর ভ্রাতা ও ভ্রাতৃবধূসহ স্বজন হারানোর ব্যথা তো তার জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে আছেই।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিংশ শতকের শেষার্ধে আবিভূর্ত একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। ২০১২ সালে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা-ব্যক্তিত্ব হিসাবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।

শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে সমালোচনা হলো সংগ্রাম ও বিকাশের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি। এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেই ‘বস্তার’ বইটি নিয়ে দু’চার কথা লিখতে বসলাম। এ আলোচনা বা সমালোচনা কতটুকু সাহিত্যমানসম্পন্ন হবে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত নই। সেক্ষেত্রে এটিকে আমার উপলব্ধির বিকাশ ধরে নেয়াটাই শ্রেয়।

রাসুল (স.) বলেছেন, রোজা ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা ও মূর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তোমার সঙ্গে ঝগড় করতে আসে, তোমাকে গালি দ্যায়, তবে দু’বার উচ্চারণ করো, আমি রোজা আছি। ওই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের চেয়েও উৎকৃষ্ট।

আশ্চর্য কিছু কাকতাল আমরা তার মৃত্যুর মধ্যেও দেখি! ব্যক্তিগত সম্পদের অবসান চাওয়া মানুষটি ব্যক্তিগত সম্পদহীন রইলেন। তিনি যখন মারা গেলেন, তখন তিনি কোনো দেশের নাগরিক নন! এই আন্তর্জাতিকতাবাদী শেষপর্যন্ত পৃথিবীর মানুষ হিসেবে সমাধিস্থ হলেন, কোনো দেশের নাগরিক হিসেবে নয়!

মিছিল খন্দকারের কবিতাগুলো জলফড়িঙের মতো, প্রাণবন্ত, আনকোরা এবং গল্পময়। কিছু কবিতাকে মনে হয়েছে শক্তিশালী কিন্তু ভারি নয়। বরং সহজবোধ্য যা আমার মতো নাদান পাঠকও বুঝতে পারবে।

প্রতিষ্ঠান কাজল শাহনেওয়াজের কবিতাকে কখনোই স্বিকৃতি দেবে না। কারণ সবঅর্থেই তার কাব্য প্রাতিষ্ঠানিক রীতির বিপরীতে অবস্থান করে। অবশ্য কাজল ভাই স্বিকৃতি নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন। তিনি তার ছোট স্টাডিরুমে কম্পিউটারের সামনে বসে কবিতার ছলে ছোট ছোট কোড রচনা করতেই ব্যস্ত।

আরবি-ফার্সি শব্দের এমন লাযিয ইস্তেমাল আর কয়জনই বা করিতে পারিয়াছে! এ ভাষায় যদি এই সময়ে তিনি লিখিতেন তবে তাহার পুত্রের পত্রিকা `ডেইলি স্টার` তাহাকে মৌলবাদী সাহিত্যিক বলিয়া ফতোয়া প্রদান করিত। বহু আগে ইন্তেকাল করিয়া তিনি পুত্রের পত্রিকার হাত হইতে বাঁচিয়া গিয়াছেন।