শৈশবের স্বপ্ন-কল্পনার আনন্দপুরী ‘কিশলয়’

জীবন চলার পথে প্রতিনিয়িত সিনিয়র-জুনিয়রদের মাঝে দ্বন্দ্ব এবং টানাপোড়া চিরন্তন, এটাকে মেনে নিয়ে, এটার মাঝে আপস করে চলতে যে পারে, ছাত্রজীবনের শেষ সময়টা কেটে যায় প্রভুত্বে!কিন্তু, মাঝে মাঝে এই দ্বন্দ্ব এবং টানাপোড়া কারো কারো জীবনে করুণ পরিণতি বয়ে আনে। উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র রবি যেন তার প্রতিচ্ছবি।

যারা রশীদ করীমের সান্নিধ্য লাভ করেছেন, তারা মাত্রই জানেন, জীবনমুখী এ-মানুষটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অন্যের মাঝেও খুব সহজেই ছড়িয়ে দিতে পারতেন। রশীদ করীমের সাহিত্য কর্মও যেন তার ব্যক্তিসত্তারই অনুক্রমনিক।

সমরেশ মজুমদারের লেখায় আলাদা একটা আবহের জন্ম হয়। যে আবহ পাঠককে দেয় সাধারণ গল্পের এক অসাধারণ শৈলী আবাহনের সুযোগ। খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে গল্প বলা শুরু করে পাঠকের অজান্তে গল্পের স্রোতটাকে পরিণত করেন খরস্রোতা প্রবাহিনীর মতো।

বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কৌতুক গল্পের বই `বরযাত্রী`র ছয় বন্ধু গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে. গুপ্তের সঙ্গে পরিচয় নেই বাংলা সাহিত্যের এমন পাঠক বোধহয় কমই আছেন।

হে আমার বরেন্দির মাটি ছুঁয়ে বয়ে যাওয়া রাতের বাতাস! আমাদের পিতৃ-মাতৃগণের শেষ নিশ্বাস মিশে আছে তোমার শরীরে। তুমিই তো সেই নিশ্বাসগুলি আবার বহন করে আনো আমাদের বুকের ভিতরে, দিয়ে যাও বরাভয় আশীর্বাদ!

ছফার সাথে প্রথম পরিচয় তার `অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী` দিয়ে। এরপর `যদ্যপি আমার গুরু`। `পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ` উপন্যাসটি আমার তৃতীয় ছফা পাঠ। তিনটি বইয়েই ছফা নিজেই প্রবলভাবে উপস্থিত।

পর্তুগিজ লেখক হোসে সারামাগোর অন্ধত্ব পড়তে গিয়ে মনে হয়েছিল একটা নতুন মানবিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। একটা শহরের মানুষগুলো হঠাৎ করে এক-এক করে অন্ধ হতে শুরু করলো। শহরে সহসা একটা বিপর্যয় নেমে এলো।

হাসপাতালে শুয়ে থাকা এক রোগী, যে কি না আমেরিকায় একজন গ্রিক অবৈধ অভিবাসী, অজ্ঞাত কোনো এক ব্যক্তির হাতে গুলি খেয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। সাধারণ ঘটনার জন্য পুলিশ তদারকিতে আসলে মুখ খুলতে নারাজ হয় সে