স্বাধীন খসরুর গদ্য ‘যদি আরও একটু সময় পেতাম’

বাংলার বিরাট সংখ্যক হিন্দু-মুসলমান কয়েকশো বছর ধরে পাশাপাশি বাস করে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে গেছে। মানুষ তখন এখনকার চেয়ে অনেক কম শিক্ষিত ছিল, তবুও দীর্ঘকাল তারা মিলেমিশে রইলো কী করে?

বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়ন ঘটেছিল সুলতান সুলেমানের আমলে। তাঁর সময়কে ‘স্বর্ণযুগ’ হিসেবেও আখ্যা দেন ঐতিহাসিকরা। সুলেমান নিজে কবিতা লিখতেন। ‘মুহিব্বি’ নামে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। ‘মুহিব্বি’ অর্থ প্রেমিক।

গ্রাম্যতা শব্দে অনেকের আপত্তি। আপত্তির কারণ, গ্রাম্যতা শব্দ দ্বারা গ্রামের মানুষদের খাটো করা হয়, অপমান করা হয়। হ্যাঁ, করা হয় বটে। গ্রামের মানুষ খারাপ কেন হবে? গ্রামের মানুষ শহরের শিক্ষিতদের মতো দুর্নীতি করে না, ঘুষ খায় না।

বাংলাদেশে শতভাগ লকডাউন বাস্তবায়ন গত বছরও সম্ভব হয়নি, এই বছরও না। ঢাকাঢোল পিটিয়ে এক তারিখ থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়া হলো। আমি তো রোজ এক ঘণ্টা সাইকেল চালাই। কঠোরতার ভয়ে চার দিন বের হলাম না। গোল্লায় যাক সাইকেল।

জীবনে বহু উপন্যাস বা বই আমি জেদের বশবর্তী হয়ে পড়েছি। এখন এটা আমার কাছে আশ্চর্যের বিষয় লাগে যে, সেসব বইয়ের বেশিরভাগই পড়েছি বাসে। সাভার থেকে বাংলামটর যাতায়াতের সময়। ‘ওয়ার অ্যান্ড পীস’ ছিল আমার জন্য এক কঠিন পরীক্ষা।

প্রতিদিন লিখে যেতে হয়। হ্যাঁ, প্রতিদিন হয়ত উপন্যাস লেখা সম্ভব হয় না সত্যি, কিন্তু প্রতিদিন উপন্যাসটি নিয়ে অনুধ্যানের মধ্যে থাকতে হয়। প্রচুর নোট নিতে হয়।

তখন তো বর্ষা মানেই এক অবরুদ্ধকাল। বাড়ির সীমানার বাইরে যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। বৃষ্টি চলছে তো চলছেই। কবে থামবে কেউ জানে না। মনে হতো আমরা কখনো শীত দেখিনি, গ্রীষ্ম দেখিনি, বসন্ত দেখিনি; আজন্ম কেবল বর্ষাই দেখছি

লেখকের কি একজন দয়িতার প্রয়োজন হয়? হয়তো হয়। রবীন্দ্রনাথের ওকাম্পো যেমন, দান্তের বিয়াত্রিচে যেমন। কিংবা নজরুলের নার্গিস যেমন। লেখককে সে শ্রাবণের ধারার মতো অনুপ্রেরণা জোগায়। লেখার জন্য কি অনুপ্রেরণার দরকার হয়? সম্ভবত হয়