আবু তাহের সরফরাজের প্রবন্ধ ‘পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হলো’

কোনো জাতি কতটা সভ্য, তা নির্ণয় করবার সব চেয়ে উৎকৃষ্ট মাপকাঠি হচ্ছে তার শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠ্যপুস্তক ও সাধারণ সাহিত্য। এসবের ভিতর দিয়ে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিষ্ফুট হয়

বাস্তবে বাংলার হিন্দু-মুসলিম চাষা বা কারিগরদের সন্তানরা খুব কমই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতো। মধ্যযুগের পাঠশালায়ও তাদের কিছু কিছু অংশগ্রহণ ছিল

ফরাসি বিপ্লবের পর পাশ্চাত্যের শিক্ষাধারায় যার প্রভাব যথেষ্ট সেই রুশো বলেছিলেন, শিশুকে পরিণত বয়স্ক মানুষ হিসেবে দেখার আগে তাকে ‘শিশু’ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত

যার ভেতর জানার আগ্রহ যত বেশি, মানুষ হিসেবে সে তত মহৎ। কিন্তু আজকের দিনে এরকম মহৎ মানুষ আতশি কাচ দিয়ে খুঁজলেও ভাগ্যে দু’একজন পাওয়া যেতে পারে।

বাংলায় উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছেন তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

শিক্ষাবিধি সম্বন্ধে আলোচনা করব স্থির করেছিলুম, ইতিমধ্যে কোনো-একটি আমেরিকান কাগজে এ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ পড়লুম; পড়ে খুশি হয়েছি। আমার মতটি এই লেখায় ঠিকমত ব্যক্ত হয়েছে।

মানুষের জ্ঞান, বিশেষ করিয়া বস্তু-নির্ভর জ্ঞান আপেক্ষিক (Relative), কিন্তু তাহা সত্ত্বেও সেই সীমিত জ্ঞানকে অবলম্বন করিয়া বিভিন্ন মানুষ নিজেদের জন্য জীবন-বিধান প্রণয়নের প্রচেষ্টা চালাইয়াছে

ইংরেজ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ইংরেজী শিক্ষা প্রবর্তিত হওয়ায় ফলে দেশের মানুষ স্বল্পকালের মধ্যেই ইংরেজী জানা এবং ইংরেজী না জানা এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত হতে লাগলো।