আবু তাহের সরফরাজের প্রবন্ধ ‘পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হলো’

মানুষ স্বভাবতই পরের ওপর দোষ চাপিয়ে খুশি থাকতে চায়। জীবনে যত গ্রন্থি এসে তার গতিকে ব্যাহত করে, তার প্রায় সবটার মূলেই দেখতে পাই মানুষের ইচ্ছাকৃত বা অজ্ঞানজাত এই ধরনের আত্ম প্রতারণা।

পৃথিবীর জন্ম কীভাবে হয়েছে তা জানতে আমাদেরকে চলে যেতে হবে পৃথিবী ছাড়িয়ে আরও অনেক দূরে। যেতে হবে সেখানে, সেখান থেকে প্রথম মহাবিশ্বের সৃষ্টির সূচনা হয়েছিল

আখেরাতের প্রতি ঈমান এমন এক কার্যকর নিয়ন্ত্রণবিধি যা মানুষকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সর্বত্রই যে কোনো গর্হিত আচরণ থেকে অত্যন্ত কার্যকরভাবে বিরত রাখে।

বিশ্ব সংসারের স্তরে স্তরে প্রকৃতির এই যে বিকশিত রূপ- এর শুরু কবে; কবে পূর্ণতালাভ এবং কার জন্যে? বিচিত্র প্রকৃতির রূপরস, আলো-হাওয়ায় বেঁচে থাকে যে মানুষ, তার মনে এ প্রশ্ন জীবনের কোনও না কোনও সময়ে জাগবেই

গান্ধী জীবনের শেষে এসে যে সত্য উপলব্ধি করেছিলেন, ইতিহাসের দিকে নজর ফেলে তা লক্ষ্য করতে যেন আমরা অনেকেই চাইছি না। বিভেদ বাড়িয়ে তোলার মধ্যেই যেন আমাদের আগ্রহ

প্রবন্ধ আমি লিখি এবং সম্ভবত যত লেখা উচিত তার চাইতে বেশিই লিখি, কিন্তু সে প্রবন্ধ সর্বজনসমক্ষে পাঠ করতে আমি স্বভাবতই সংকুচিত হই। লোকে বলে, আমার প্রবন্ধ কেউ পড়ে না।

যখন ভারত বিভক্ত হলো, তখন ভয়াবহ দাঙ্গার কারণ কী? মাউন্টব্যাটেনের দ্বিচারিতা আর নেহরুর ক্ষমতালাভের জন্য পাগল হয়ে যাওয়া

মানুষের মানবীয় প্রবৃত্তি পৃথিবীতে তার সুখভোগের সহায়ক। এসব প্রবৃত্তি যদি মানুষ যথেচ্ছ ব্যবহার করে, তবে তা সুখের বদলে তার জীবনকে করে তুলবে দুঃখময়