আবু তাহের সরফরাজের প্রবন্ধ ‘পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হলো’

এক মহান মানুশের দাওয়াতে খাচ্ছি মজাদার এই শরবত, মহৎ মানুশদের শরবত তো এমন মধুরই হয়! খেতে খেতে তাই, যমিনেও একটু ফেলেছি, মহান মানুশের গেলাশে তো যমিনেরও হক আছে, তাই না!

যেসব পরিভাষা ইসলামি জ্ঞানের ধারা ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তাফাক্কুর বা চিন্তা হলো সেগুলোর মধ্যে একটি

জগতের স্রষ্টা ও নিয়ন্তা একজন আছেন, এ বিশ্বাস অনেক বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের মনেই বদ্ধমূল। তাদের কেউ কেউ ঈশ্বরের অস্তিত্বকে সরল বিশ্বাসে মেনে নেন, আবার অন্য কেউ সেই বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান যুক্তিপ্রমাণের ওপর

দুনিয়ার ইতিহাসে বই লেখার কারণে মরণ হইছে যাদের, ইনি তাদেরই একজন। ওনার মরণের কাহিনিটা বেশ চিন্তাজাগানিয়া; ইতিহাসের অনেকগুলা ধারণা ক্লিয়ার হয় ওনার মওতের কাহিনিতে, অনেকগুলা ব্যাপার পষ্ট হয়।

ক্ষমতারে বারবার প্রশ্ন করা লাগে, মোকাবেলা করা লাগে— তাই কারবালা ঘুরে ঘুরে আসে। হযরত হুসাইন আমাদের সামনে থাকেন। আমরা সবাই হুসাইনি কাফেলার মানুশই হইতে চাই। কিন্তু কারবালার অর্থ আর মর্ম ভুইলা গেলে চলে না।

গল্পের কাছে চাওয়া। এই চাওয়া পাঠক হিসেবে এক রকম, আর লেখক হিসেবে আরেক রকম। একটা গল্প সত্যিকারের একটা ভালো গল্প হলো কিনা, সেটা গল্পটি পড়া শেষ হলে যেমন বোধগম্য হবে, গল্পের শুরুর বাক্যটিতেও তা হতে পারে

আরবিতে দাবা খেলার জন্য ব্যবহৃত শব্দটা হলো, শতরঞ্জ বা শিতরঞ্জ شطرنج। শিনে যবর বা যের—দুইটা উচ্চারণই প্রচলিত আছে এক্ষেত্রে। প্রামাণ্য আরবি অভিধানগুলিতে শব্দটারে মুআররাব বা অন্য ভাষা থেকে আরবিকৃত হিশেবে দেখানো হইছে।

চিন্তা-ভাবনা এবং কার্যকলাপে ভুল করা মানুষের পক্ষে শুধু যে স্বাভাবিক তাই নয়, অপরিহার্যও বটে। স্বাভাবিক এই জন্যে যে, মানুষ বড় দুর্বল। সর্বদা নানা ঘটনা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে সংগ্রামে জয়ী হতে পারে না।