আবু তাহের সরফরাজের প্রবন্ধ ‘পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হলো’

প্রেমের বর্ণনা দেওয়ার ক্ষেত্রে দার্শনিক বিশ্লেষণের সময় অবশ্যই যে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় তা হলো, ভালোবাসাকে অন্যান্য ইতিবাচক মনোভাব যা একজন মানুষ অন্য মানুষের প্রতি অনুভব করে, যেমন পছন্দ করা ইত্যাদি থেকে আলাদা করা

এই সময়ের কবিতাপাঠে এইটা বলা অমুলক হবে না যে, বাংলাদেশের কবিতার বিষয়বস্তু, গঠন ও বয়নে একটা পজিটভ, প্যারাডাইমিক চেইঞ্জ আসছে। এই পজিটভ ও প্যারাডাইমিক চেইঞ্জটা কী?

কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। চলচ্চিত্রে নজরুলের যখন আর্বিভাব তখন চলচ্চিত্রের নির্বাক যুগ থেকে সবাক যুগে পর্দাপন কাল

নজরুল এক সম্ভবনাময় যুগে অসম্ভবের গান গেয়েছেন। ঘুমন্ত জাতিকে জাগানো, দ্বিধা বিভক্ত জাতিকে ঐক্যের সুরে বাঁধার চেষ্টা করে গেছেন জীবনজুড়ে

হঠাৎ চিৎকার করিয়া কেহ উত্তর দিল, ‘হাজির।’ কাহাকেও ডাকিতে শুনি নাই, তথাপি অতি করুণ ও ভক্তি উচ্ছ্বসিত স্বরে উত্তর শুনিলাম, ‘কি আজ্ঞা প্রভু?’ কে তোমার প্রভু, কাহার হুকুমে এরূপ উদ্দীপ্ত হইলে?

প্রান্তিক জীবনকে অনুভব করতে হলে সেই জীবনের কাছাকাছি থাকা জরুরি। একজন সৎ লেখক ব্রাত্যজনের হৃদয়ের উষ্ণতাকে অনুভব করেন, তারপর সে জীবনকে চিত্রিত করেন শৈল্পিক বয়ানে

যদি ধরে নেওয়া হয় প্রেমের একটি প্রকৃতি আছে, তবে তা কিছুটা হলেও ভাষার ধারণার মধ্যে বর্ণনাযোগ্য হওয়া উচিত। কিন্তু বর্ণনার উপযুক্ত ভাষা বলতে যা বোঝায় সেটাও হয়তো প্রেমের মতোই দার্শনিকভাবে বিভ্রান্তিকর হতে পারে

ফিলিয়া বলতে বোঝানো হয়েছে শুধুমাত্র কোনো একজনের তার বন্ধুদের প্রতি এবং পরিবারের সদস্যদের, ব্যবসায়িক অংশীদারদের এবং বৃহত্তর দেশের প্রতিও এক ধরনের স্নেহপূর্ণ সম্মান বা বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতিকে