আবু তাহের সরফরাজের প্রবন্ধ ‘পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হলো’

পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। কিন্তু গোপালচন্দ্রের গবেষণার বিষয় ছিল একটু ভিন্ন রকমের। কেননা তিনি যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করে গেছেন, তাতে গ্রামের মানুষ তাকে প্রথমে পাগল ছাড়া অন্য কিছু ভাবত না

আইনস্টাইনের বৈজ্ঞানিক দূরদৃষ্টি ও জ্ঞানের একটি অন্তর্নিহিত দিক ছিল। তিনিই সবার আগে উপলব্ধি করেন পদার্থের ভর ও শক্তি আসলে একই বস্তুর দুটি রূপ। পদার্থের ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। আর শক্তিকে রূপ দেয়া যায় পদার্থে

ফটোগ্রাফ বস্তু জগতের এক চুল ওলট-পালট করতে অক্ষম, কিন্তু শিল্পীর কল্পনা যে বরফের হাওয়া পেলে— ফটোগ্রাফের মধ্যে যতটা বস্তু তার সমস্তটা পালাই পালাই করে— সেই বরফের চূড়ায় হর-গৌরীকে বসিয়ে দিলে বিনা তর্কে

ভারতীয় বা পশ্চিমি বিজ্ঞান বলে কিছু আছে কিনা বা বিজ্ঞানকে সুনির্দিষ্ট ভূগোলের আওতাধীন করে আলাদা আলোচনা করা যায় কিনা, এ প্রশ্নটা বিজ্ঞানের দার্শনিক মহলে প্রবলভাবেই জারি আছে এখনো

স্বাধীনতার পর তারই প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা শিক্ষা পুনরায় চালু হয়। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি প্রথম মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ ও একে বিজ্ঞান সম্মত রূপদান করেন

হাসান আজিজুল হক গল্পের দর্শন ও গল্পের শরীর-অবয়বের চাহিদা অনুযায়ী ভাষাকে সাজিয়ে নিতে পেরেছিলেন। গল্পের প্রয়োজনে একেবারে মেঠো উক্তি তুলে এনেছেন। তবে অতিকথনের মেদ গল্পের নিটোলতাকে ক্ষুণ্ণ করেনি

মানুষ স্বভাবতই পরের ওপর দোষ চাপিয়ে খুশি থাকতে চায়। জীবনে যত গ্রন্থি এসে তার গতিকে ব্যাহত করে তার প্রায় সবটার মূলেই মানুষের অজ্ঞানজাত আত্ম প্রতারণা

যার ভেতর জানার আগ্রহ যত বেশি, মানুষ হিসেবে সে তত মহৎ। কিন্তু আজকের দিনে এরকম মহৎ মানুষ আতশি কাচ দিয়ে খুঁজলেও ভাগ্যে দু’একজন পাওয়া যেতে পারে