রবিউল করিম নান্টুর কবিতা ‘দাসত্বের শৃঙ্খল’

গির্জাঘরে খৃস্ট কেমন দ্যাখো ক্রুশের ওপর হচ্ছে বলি আজ খোদার কালাম এবং রসুল তাঁর নেই তো এখন কাবাঘরের মাঝ

এসো কিছু একটা ভাঙচুর করি। হাতদুটো বিস্ফোরক হয়ে উঠছে আজকাল দুই হাতের ওপর স্নিগ্ধতার রঙ ছিল ধুয়ে গেছে তা বিস্ফোরক দ্রবণে

তারা নাকি দুটি -কুসুম একদেশ  ছিল তারপর সেই মোক্ষম মুনাফা লুটেরা বহু মন্বন্তর দেয়, ফাঁসি দেয়, দ্বীপান্তর

শত বারাকাহ’র মৌসুম খুলে— এইসব রক্তকাটা বোমা পড়া রাত ভেসে ওঠে মরা মাছের চোখে। যে কিশোরী কোরান পড়ছে সুর করে ভাঙা বাড়িতে মাছের চোখেও তার কোরানের ক্যালিগ্রাফি

অন্ধকার আজদাহার বেষ্টনীতে প্রাণী ও প্রাণের সাড়া নেই। এখানে জালালাবাদে দেখি এসে হিম-সিক্ত কম্বলের মত রাত্রি ঢেকেছে নিঃশেষে সমস্ত আলোকরশ্মি পৃথিবীর সকল পথের

কোনো মেয়ে যদি এই মেয়েটির মতো এমন ছেলে চায়, যে প্রেমিক তাকে ছাড়া আর কোনও মেয়ের দিকে তাকাবে না যে ছেলের ওসবে কোনও রুচি নেই, তবে সেই মেয়েকে বলি, এমন পুরুষ দিয়ে কী করবে তুমি

নুরু, পুশি, আয়েশা, শফি সবাই এসেছে/আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে/রাঁধুনিদের শখের রাঁধার পড়ে গেছ ধুম/বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম

সবার চোখে আঁকতে হবে উদযাপনের ছক/স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে জীবন পর্যটক/সংস্কারের বর্ণমালা উড়ছে হাওয়ায় ফের/সংবিধানে স্বরলিপি নতুন বসন্তের