ক্রিস্টিয়ান কার্লসসনের গুচ্ছকবিতা

তুমি যে এতটা দুর্বল, ভীরু, নখদন্তহীন; তা আমাদের জানা ছিল না/এতদিন আমরা তোমাকে অযথাই যমের মতো ভয় করেছি/তোমার অগণিত মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু বোমা কোথায় রেখেছ

ধানক্ষেত! আমার নেই। ফলে গোলাও নেই গৃহে। তোমার বিয়ে হয়ে গেছে বেশ ক`বছর, পাশের গ্রামে। গ্রাম ঘেঁষে একটি নদীও আছে। যাইনি কোনোদিন, ডুবে যাওয়ার ভয় নেই যদিও।

শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছে/কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে/শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোস্নার মতো যোনি

কখনও জানতে চাইনি তোমার নাম—তোমার কি নাম আছে/নাকি একটি রিমলেস চশমার কাছে চলে গেছে দৃষ্টি ও ভঙ্গি/সমস্ত দুপুর হাই-তোলা ভাতঘুমের মতো ভেঙে ভেঙে পড়ছে

সকাল হইতেছে; আস্তে আস্তে সূর্যের আলো আইসা ঢুইকা পড়লো আমার সন্ধ্যালাগা ঘরে/অভ্যাস থেকে বাইর হইয়া গিয়া তুমি চেষ্টা করতে থাকলা মনে না করতে আমারে

প্রিয়তম শহরে আজ বৃষ্টি নেমেছে। সুউচ্চ মিনার, বৃক্ষ, স্বচ্ছ কাচ ধুয়ে যাচ্ছে জলের ধারায়। একটা জর্দার কৌটো, সিলিকন চিপ শাড়ির অর্ধভাঁজ, কালো স্তন বৃষ্টিতে ভিজছে রিকশার হুট, গ্যাস পাম্প, কনডমের প্যাকেট

নিতান্তই রূপোর ফয়েল যার তলায় জগতের সকল আগুন, তবু একটুও পুড়বে না; ছিদ্রও হবে না, ঢালাই করে রেখে দেয়া সুগোল বিম্বের দিকে তাকিয়ে ওড়া দুঃখের ধোঁয়ায়

মেঘ থেকে মেঘে লাফ দেবার সময়/তুরীয় আহ্লাদে দ্রুত কেঁপে-বেঁকে/একটানে একাকার যখন বিজলিসূত্র, ওই ঊর্ধ্বতন/মেঘের আসনে এক ঝলক দেখা গেল তাকে/আলোকিত ঘনকের আকারে।