ক্রিস্টিয়ান কার্লসসনের গুচ্ছকবিতা

বুদ্ধদেবের প্রতি কিসা গৌতমী/দেউলে দেউলে কাঁদিয়া ফিরি গো, দুলালে আগলি বক্ষে/উষ্ণ বিয়োগ-উৎস-সরিৎ দরবিগলিত চক্ষে/শত চুম্বনে মেলে না নয়ন, চুরি গেছে মোর আঁচলের ধন/অভাগী বিহগী আজিকে আহত মরণশ্যেনের পক্ষে।

এক জানালা রাত্রি আমার কাটল কেমন করে/মোগলসরাই প্যাসেঞ্জারে বৃষ্টি নামল তোড়ে/বৃষ্টি নামল, ভীরু ধানক্ষেত ভালোবাসার মতো/আলের পথে আলের পথ আলিঙ্গনরত।

উপরতলায় থাকার লড়াইয়ে উপরে xঠার রাস্তাটা চেনা জরুরি। তারচেয়েও জরুরি ক্ষমতাবানের আশির্বাদ। আশির্বাদ পেতে তেলের শিশি, মালিশের হাত এবং একটি জিহ্বাও জরুরি।

এই ধরণীর বুকে যারা এনেছিল জ্ঞান/আজকে তারাই মূর্খ জাতি, নামেই মুসলমান/যাদের জ্ঞানে এবং কর্মে কাঁপতো সারা বিশ্ব/অজ্ঞানতার অন্ধকারে আজ যে তারা নিঃস্ব!

মা আয়েশা মোর নবিজির পা ধোয়াতেন যথা/দেখিয়ে দে সে বেহেশত আমায় রাখ রে আমার কথা/তোর, প্রথম কোথায় আজান-ধ্বনি ভাঙলো ঘুমের ঘোর।

শিশুটি যখন আসল শিশুটি ছিল হাঁটতো-চলতো নেড়েনেড়ে দুই হাত/চেয়েছিল ছোটো নদী হোক বড় নদী আর নদী হোক খরবেগ দুদ্দার

আমার পাঁচ বছরের ছেলে ঋষভের অভিব্যক্তিতে/বিস্মৃত পূর্বপুরুষেরা পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে/ঘুমের মধ্যে যখন আমার কিশোরী মেয়ে আদৃতার/ঠোঁট দুটি নড়ে, আমি কান পাতি/অতল কুয়ার গভীর থেকে উঠে আসে লাজুক কিছু ধ্বনি

পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব/পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন/এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা/পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু’কদম।