ক্রিস্টিয়ান কার্লসসনের গুচ্ছকবিতা

বন্ধু হে, সমুদ্রের ধারক তোমার দুটি চোখে আমি কখনো জল দেখিনি! আমি শত সহস্র বছর নীল জোছনার খোঁজ করেছি তোমার চোখে। কিন্তু হে অপ্রকাশিতা, তুমি কখনোই মেলে ধরোনি তোমায়

পথ হারিয়ে পথকে খুঁজি/দিন হারিয়ে খুঁজি কার রাত/খাঁচা খুলে দিয়ে পাখি/তোর আঙিনায় দুয়ার/মাঝপুকুরে ছুঁতে চাই, জল/খেলাঘরে, জনম অপার/ধাতৃগাঁয়ে, গোর অসীমার!

শীত মিশে আছে কীভাবে জোড়া পাতায়। হাওয়া সকল জলে ভেসে থাকা মাছেদের ছুটে চলা ভালো। সূর্য ডুবে গেলে পৃথিবীর ভার নিয়ে হয়তো তুমি যাকে বন্ধু ভাববে, সেও জোনাকির মতো রাত ছড়িয়ে হাসবে তোমার থেকে দূরে

বয়স বাড়ছে। চেপে রাখি। কাউকে কিছুই হয় না বলা। শুধু জিজ্ঞাসা, এ-ই যা; মরার পর কি কবিতা লেখা যায়? কে শোনে কার কথা! শেষাবধি বেড়ে চলে ঋণের বোঝা; আমাদের গড় আয়ু আর গড় উচ্চতা, এই নিয়ে বেঁচে থাকা...

চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে! কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে।

আমরা কতিপয় আমলার স্ত্রী তোমার দিকে মুখ ফেরালাম, হে প্রভু আমাদের ত্রাণ করো। বিশ্রামে বিধ্বস্ত আমরা কতিপয় আমলার স্ত্রী, হে প্রভু আমাদের স্বামীরা অগাধ নথিপত্রে ডুবুরি

রাতের বেলা খড়ের গাদায় সূঁচের মতো আমরা লুকিয়ে থাকলাম। লেখাগুলি জোড়া দিয়ে দিয়ে শান্ত ইহকাল পরকাল। একটু একটু রেখে একটু একটু বাসনা মানে রিডাকশন

তুমি রেগে গেলে সুন্দর লাগে কেউ কি বলেছে আগে/রাগলেই মন কাছাকাছি আসে রাগে আর অনুরাগে/তুমি রেগে গেলে পুরান স্মৃতিরা সিঁড়িঘরে আড়ি পাতে/একরাশ অভিমান নিয়ে প্রেম নিভৃতে আসে রাতে।