ক্রিস্টিয়ান কার্লসসনের গুচ্ছকবিতা

ম্লানমুখে, নতশির, ফিরি ভাঙা বুকে/হঠাৎ শুনিনু হাসি। তীক্ষ্ণ সকৌতুকে/কে কহিছে—‘মা তোমার বুদ্ধি তো জবর/নিজের বৌয়ের লাইগা কে বিসরায় বর?’

একজন নারী সৈনিক চিৎকার করে বলল, আবার এসেছো? আমি না তোমাকে হত্যা করলাম? আমি বললাম, তুমি আমাকে খুন করেছিলে... এবং আমি ভুলে গেছি, তোমার মতো, আমি মৃত্যুকে মনে রাখিনি।

আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি/তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল/তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল/তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন/অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন/পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন

তোমার এখন কেমন কাটে একলা রাতে একা একা? সন্ধ্যা নামার সময়টাতে কে এখন হয় তোমার পথে সাথি? কার হাতের আঙুলের ফাঁকে এখন তোমার আঙুল খেলা করে?

ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি নিজেকে/এত ধুলোময়লা জমেছে চারপাশে/শোধডুব দিয়ে এসেছি শেষ নদীতে/নদী ক‌ই, সব জলীয় ভাগাড়

বৃষ্টি শেষের ছাদের প্রতি একটা সময়ে অকথ্য এক প্রেম ছিল। আমাদের বর্ষামঙ্গলের যাত্রা আষাঢ়ে শুরু হয়ে হিমেল হাওয়া আসার প্রাকমুহূর্ত পর্যন্ত অবিরত চলতো।

কাম নাচাতে গিয়ে আমি কামে মজে গিয়েছি/কাম নাচাতে গিয়ে প্রভু কামে মজে গিয়েছি/কামাগুনের এমন জ্বালা, গলিয়ে দিল রিপুর তালা/মণিকাঞ্চন ধরতে গিয়ে শূন্য হয়ে ফিরেছি/কাম নাচাতে গিয়ে প্রভু কামে মজে গিয়েছি।।

কে কবি— কবে কে মোরে? ঘটকালি করি/শবদে শবদে বিয়া দেয় যেই জন/সেই কি সে যম‐দমী? তার শিরোপরি/শোভে কি অক্ষয় শোভা যশের রতন/সেই কবি মোর মতে, কল্পনা সুন্দরী