আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহর ৩ কবিতা

অসময়ে মেহমান ঘরে ঢুকে বসে যান বোঝালাম ঝামেলার যতগুলো দিক আছে তিনি হেসে বললেন, ঠিক আছে ঠিক আছে

এক-একটা মুখ যেন বালির ভেতরে পোঁতা আধেক নৌকার মতো অবয়ব নাক মুখ স্পষ্ট নয়, ঠিকানা হারিয়ে গেছে, বাড়িঘর বিষয়-আশয়

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে, আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে

আমি দিগন্তের দিকে হাজারো গুলি ছুঁড়ে দেখেছি কোথাও কোনো শত্রুপক্ষ নেই শত্রুহীন স্বপ্নহীন একটা দীর্ঘদিন

দীর্ঘ রাত্রি অবসান নিশীথের ঘনকৃষ্ণ রেখা-নেকাব সরে যায় খুনরাঙা অরুণের আসন্ন আভাস। নিখিলের তন্দ্রাতুর নিমীল নয়ন খুলে যায় খঞ্জর-ঝঝনে

ছুটিতে ফিরিলে দেশে কুড়ানি-জননী আশীর্বাদ বরষিয়া কন—‘শোন মণি, কুড়ানি উন্নিশে পড়ে, আর রাহি কত? হইয়া উঠতেয়াছে মাইয়া পাহাড় পর্বত

স্কুলের বারান্দায় একটা দোয়েল পাখি এসে বসতো, ক্লাস এইটের জানলা দিয়ে বারান্দায় যখন এক চিলতে রোদ্দুর খেলা করতো

আগুন লাগাইয়া দিলো কনে হাছন রাজার মনে। নিভে নারে উনো আগুন জ্বলে দিলো জানে