যতীন্দ্রমোহন বাগচীর বিখ্যাত ৪ কবিতা

কতবার জাহান্নামের আগুনে পোড়াতে চেয়েছ আমাকে/কতবার বুরুজ পর্বত থেকে ঝুলিয়ে রেখেছ তোমার তরবারি/কত দিন ক্ষুধার্ত উদর নিয়ে কেঁদে কেঁদে রাত করেছি কাবার

সে রাতে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে চাঁদ উঠেছিল/আমি গান্ধর্ব বিবাহ করে তোমাকে খেয়েছি চুমু/কামগন্ধা জোছনায় ডাহুক কেন বিসমিল্লা খাঁ/আমি ভেবেছি অনেক/জল সরে যাওয়া ঘাসের শয্যায় কোথাও মুরলী/নিশ্চয় বেজেছে ব্রজের ভাষায়

কবি হাসান হাফিজুর রহমানের আজ জন্মদিন। ১৯৩২ সালে ১৪ জুন জামালপুর জেলায় নানাবাড়িতে তার জন্ম। পৈতৃক বাড়ি ছিল জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুর রহমান এবং মায়ের নাম হাফিজা খাতুন।

কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে। ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে। শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার। লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী;
আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানে ইন্দ্রমেঘ;

উজানী নাইয়ারে, নাও বাইয়া যাও ভরা গাঙে দিয়া আমার বন্ধুর খবর জানলে, কইয়া যাও ভিরাইয়া রে

মম প্রিয় বন্ধুগণ তপ্ত লাল শলাকা শানায়। আর রক্তজবা কানে গুঁজে শব্দ করে ভয়ানক হাসে মাঝে মাঝে বক্ষো’পরে বসে তারা মোর পানে উঁচায় খঞ্জর

পুরানো মাজারে শুয়ে মানুষের কয়খানা হাড়/শোনে এক রাতজাগা পাখীর আওয়াজ। নামে তার/ঘনীভূত রাত্রি আরো ঘন হ’য়ে স্মৃতির পাহাড়

তোমার জানালায় কৃকলাস ম্রিয়মাণ জলপাই গাছ, সকালের রোদ, শিশুর চিৎকার ছিঁড়ে ফেলছে কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের পৃথিবীকে, কবিতা এবং দীর্ঘশ্বাসের বার্তা