যতীন্দ্রমোহন বাগচীর বিখ্যাত ৪ কবিতা

কখনও আকাশ যেখানে অনেক হাশিখুশি ভরা তারা, কখনও সাগর যেখানে স্রোতের তরঙ্গ দিশাহারা। কখনও পাহাড় যেখানে পাথর চিরদিন জেগে থাকে, কখনও-বা মাঠ যেখানে ফসল সবুজের ঢেউ আঁকে।

কিশোর মোরা ঊষার আলো, আমরা হাওয়া দুরন্ত/মনটি চির বাঁধন হারা পাখির মতো উরন্ত/আমরা আসি এই জগতে ছড়িয়ে দিতে আনন্দ/সজীবতায় ভরিয়ে দিতে এই ধরণীর আনন তো/আমরা সরল কিশোর শিশু ফুলের মতো পবিত্র/অন্তরেতে গোপন মোদের শিল্প, গীতি, কবিত্ব।

তোমার স্রোতের বুঝি শেষ নেই, জোয়ার ভাঁটায় এ-দেশে ও-দেশে নিত্য ঊর্মিল কল্লোলে পাড় গড়ে পাড় ভেঙে মিছিলে জাঠায় মরিয়া বন্যায় যুদ্ধে কখনো-বা ফল্গু বা পল্বলে কখনো নিভৃত মৌন বাগানের আত্মস্থ প্রসাদে বিলাও বেগের আভা

আজ ঈদ। মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ। বাংলায় কেন নয়, নেই কোনো এষণা। জামান বন্ধু আমাদের, সুযোগ পেলেই বলেন: ... মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ। আজ ঈদ...

আকাশে একটা সুন্দর নীল কালো আভা থাকে এইসব সন্ধ্যায়, চাঁদ নেই তবু একটা আলোতে ছেয়ে আছে রাতের আকাশ। আকাশভর্তি তারা একেবারে। আকাশটা সমুদ্রের মতো, ওতে কত মেঘ ভেসে যায় জাহাজের মতো নোঙর ফেলে মাঝেসাঝে দাঁড়িয়ে থাকে একটা বিশাল ভারি মেঘ।

কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাইবোন আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘন্টাধ্বনি–রাবেয়া রাবেয়া–  

আফসোস করো জোস আবছায়া আঁধারে/আজগুবি আনসার ডেকে ওঠে, দাদা রে/আজেবাজে আলোচনা আলাঝালা আষাঢ়ে/আগাপাছতলা দিয়ে গান গায় চাষা রে।

খাঁচার দুয়ার আলগা পাইয়া উড়ে গেছে পাখি বনে, ছোট কালো পাখি উড়ে গেছে দূর নীল নভ অঙ্গনে। শূন্য খাঁচাটি অনাদরে হোথা পড়ে আছে এক ধারে, খোকা বসি পাশে অশ্রুসজল চোক মোছে বারে বারে।