এতটা শক্ত করো হে আল্লাহ

বিস্মৃত প্রতিটি পদক্ষেপ—আমাদেরই তিরোহিত অতীতের অনুবর্তিতা। যত লক্ষ ক্রোশই অতিক্রান্ত করে আসি না কেন, সমস্ত ঘুরে ওই একটিমাত্র বিস্ময় আকীর্ণ পথের ধারেই থামতে হয়। এত কোলাহল

শরীর এক গলিপথ, টুকরো টুকরো/বয়সের ফেরে শিশুকাল ভাঙার মতো/বোতাম আসলে সাদা-জামার কল্লোল

চন্ডীচরণ দাস ছিল/পড়তে পড়তে হাসছিল/হাসতে হাসতে হাঁস হল/হায় কী সর্বনাশ হল/বিশ্বমোহন বল ছিল/ঘাসের ওপর চলছিল

আজকে না হয় না-ই বা গেলে বাড়ি/দেখবে চলো কেমন মাঠের থেকে/রাখাল ছেলে ফিরছে পাজন হাতে/দূরের ছায়া সারা গায়ে মেখে/উড়িয়ে ধুলো ফিরছে গরুর পালে

নিরাকারে তুমি থাকো, তোমাকে দেখার যে কোনো উপায় নাই। সে ব্যথায় আমি বিচলিত, চোখ মেলে অপেক্ষায় থাকি রুকু আর সিজদার গহীনে তোমাকে খুঁজি।

আমি আমার মায়ের নামেও আত্মহত্যা করতে পারি/যার অতৃপ্ত বাসনার নিষ্ঠুর নিয়তি আমি/মায়ের নাম করে ঝাপিয়ে পড়বো কোন দ্রুতগামী ট্রেনের নিচে/আমার অসুখী বাবা, যিনি বুড়ো হয়ে গেছেন/বিছানায় লেপ্টে থেকে তিনি আর কোনো স্বপ্ন দেখেন না

কিশোর মোরা ঊষার আলো, আমরা হাওয়া দুরন্ত/মনটি চির বাঁধন হারা পাখির মতো উরন্ত/আমরা আসি এই জগতে ছড়িয়ে দিতে আনন্দ/সজীবতায় ভরিয়ে দিতে এই ধরণীর আনন তো।

আমি ঠিক বুঝতে পারি, কিছু মানুষ পাখি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের ভিড়ে নিয়ম করে জমা হয় ক্রোধ। আমাকে ঠিক চিনে নেবে সবুজ জনপথ।