এতটা শক্ত করো হে আল্লাহ

যে জন বঙ্গতে জন্মে, সে বাঙালি। যার পিতা-মাতা এক ভাষায় জবান খোলে। যার শব্দ বাক্য, কাদাজল মেখে মাছ ও ভাতের সাথে
একসাথে মিলেমিশে এক হয়, সে বাঙালি।

এবার ঈদে আমেরিকা প্রবাসী তোর রুবিনা ফুপু সব ছোটদের জন্য পাঁচশো টাকা করে বখশিস দিয়েছে, তুই হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসে যা ইচ্ছে কিনে খাবি

বিস্মৃত প্রতিটি পদক্ষেপ—আমাদেরই তিরোহিত অতীতের অনুবর্তিতা। যত লক্ষ ক্রোশই অতিক্রান্ত করে আসি না কেন, সমস্ত ঘুরে ওই একটিমাত্র বিস্ময় আকীর্ণ পথের ধারেই থামতে হয়

যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী/সেই গরিব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ/ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।

অন্তরের প্রশাখা মেলে রেখেছ উদার বৃক্ষের মতো/তাই বলে উটকো ঝড়ের মতো কেউ/তোমার অন্তর-অরণ্যে অনাদৃত মাতম তুললে/
মেনে নেবে-না কোনো প্রকার উচ্ছ্বাসে—এ আমি জানি

কি পদার্থ তুমি? কোথাও তুমি কাজে আসো না। হাইড্রোজেন হলে অক্সিজেনের সাথে মিশে পানি হতে পারতা। তখন মানুষের জীবন হবার সম্ভাবনা থাকতো তোমার।

সার্থক জীবনের দুর্গম পথটা/যেতে তুমি নির্ভর করো মনোরথটা/দুর্দিন কর্পূর উড়ে যায় বাতাসে/নির্জীব বর্ণের কবিতার খাতা সে।

কবিতা, এই অমর কঙ্কাল, আমাকে ক্লান্ত করে। জ্বলছে লেবানন আহত ঘোড়ার মতো লাফায় মরুর প্রান্তে আর আমি এক মুটকি মেয়ের সন্ধান করে বেড়াই