মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায়ের তিনটি সনেট

ষাট বছর তার বয়স। জীবনের সেরা প্রেমটাই করে বেড়ান। প্রিয় মানুষের বাহুলগ্না হয়ে হাঁটেন চুল তার বাতাসে স্রোতের মতোই ভাসে

আহা ভূমধ্যসাগর, এপারে ওপারে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ মুসলমান বাতাসে গড়ে ওঠা আপেল-কমলা-নাশপতি বাগানে যে রোমান আধিপত্য গুড়িয়ে দিয়েছিল তোমার পূর্বপুরুষ

এইখানে, বেদনার আপক্ব কৈশোর, যৌবনের অবদমন কিছু অসুখি জীবনের র`মেটার পড়ে আছে হৃদয় ও শরীরের অক্লান্ত ঘাম, আর কলরব

মাস্টার বেড রেখেছি একেবারে ভেতরের দিকে, আর দক্ষিণ দিকে বড় বড় জানালা, নিজে থাকব আরাম করে, সারা বাড়ির ঝামেলা এখানে পৌঁছুবে না

গতকাল সন্ধ্যায় লন্ডনের এক কফিশপে বসে মগের ঘন কফির মধ্যে চোখ ঢুকিয়ে তোমার মুখ খুঁজছিলাম শরীরে ওভারকোট জড়িয়ে নায়াগ্রার জলপ্রপাতের ধারে দাঁড়িয়ে আমি তোমার কথাই ভাবছিলাম

আমার মৃত্যুর পর সাহানা কেউ বলবে লোকটা কবি ছিল কেউ বলবে ভণ্ড আমাকে মণ্ড বানাতে হবে স্মরণ সভা কেউ বলবে ওর বিষণ্ণ চোখ দুটো ভোলা যায় না কেউ খুব গোপন স্মৃতির সুবাস ছড়াবে

তোমার চোখ আমার হৃদয়ে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে/কষ্ট হচ্ছে, তবুও আমি সেই কাঁটাকে বুকে ধরে আছি/এবং ঝড়ো হাওয়া থেকে তাকে রক্ষা করছি/পরম যতনে একে আমার দেহে লুকিয়ে রাখি

হাওয়ায় গন্ধ ছড়িয়ে চলে যাচ্ছে মওসুম/পাট ভেঙে তবু উঠছে না গায়ে শাড়ি/বিরহী ঘোড়ার কেশরে কাটছে কে বিলি/ঘুম ভেঙে গেলে তো দেখি অপক্ক শর্বরী